নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ দিল্লীর বাসিন্দা বিকাশ কুমার ত্যাগী৷ শিক্ষিত যুবক৷ সিএ হিসেবে আগরতলায় টিএনজিসিএল এ কর্মরত৷ রবিবার ছুটির দিন৷ চার বন্ধু মিলে আগরতলা থেকে কমলপুর হয়ে লংতরাই পাহারের পাদদেশে সানহাই ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন৷ মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ওই ঝর্ণা সকলকে আকৃষ্ট করে৷ প্রায় প্রতিদিনই কিছু লোক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই ঝর্ণার মনোরম দৃশ্য দেখতে যান৷
বিকাশ কুমার ত্যাগী সহ চার বন্ধু রবিবার সেখানে যায়৷ কিন্তু, বিকাশ আর জীবিত ফিরতে পারলেন না৷ এক লহমায় তাঁর জীবন দীপ নিভে গেল৷ শুধু একটু অসতর্কতাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াল৷ প্রায় একশ কুড়ি ফুট নীচে পড়ে যায় বিকাশ৷
চারবন্ধুর মধ্যে অন্যরা জানিয়েছেন, তারা বিকাল চারটা নাগাদ সেখানে পৌঁছে৷ সবাই যে যার মতো করে সেলফি তুলছিল মোবাইলে৷ ছবি তুলার সময় হঠাৎই বিকাশ ঝর্ণার উৎসের খুব কাছে চলে যায়৷ যেটি খুবই বিপজ্জনত বলে চিহ্ণিত৷ সেখান থেকে আচমকা অসাবধানতাবশত বিকাশ ঝর্ণার উপর থেকে নীচে পড়ে জলে তলিয়ে যায়৷
অন্য বন্ধুরা চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে৷ এলাকাটি জনশূণ্য৷ কিছুটা দূরে ছোট একটি জনবসতি রয়েছে৷ বন্ধুরা সেখানে গিয়ে লোকজনকে বিষয়টি জানায়৷ খবর জেওয়া হয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে৷ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাসী চালিয়ে বিকাশ কুমার ত্যাগীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে৷
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ে ওই ঝর্ণায় চৌদ্দজন প্রাণ হারিয়েছেন একইভাবে৷ স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কাছে এলাকার লোকজন বহুবার দাবী জানিয়েছে যাতে ওই ঝর্ণার বিপদসংকুল জায়গায় রেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়ে৷ কিন্তু, প্রশাসনের তরফ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি৷ আর তাতেই একের পর এক প্রাণ যাচ্ছে৷