শহরতলীতে মাফিয়া দৌরাত্ম্য, প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে তোল্লা আদায়, আর কে নগরে মহিলাসহ দু’জন রক্তাক্ত

9MMPISTOL copyনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজধানী আগরতলায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মাফিয়ারাজ৷ সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ মাফিয়াদের হামলায় এক বৃদ্ধ ও এক গৃহবধূ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ তোল্লা আদায় করতে না পেরেই এই নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে মাফিয়ারা, জানিয়েছেন আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী৷
বোধজংনগর থানাধীন আর কে নগর এলাকার পঞ্চায়েত টিলায় আলেখ খান ও তার ছেলে ঝুটন খানকে দীর্ঘদিন ধরে মাফিয়ারা হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ৷ ঝুটন খান এদিন জানান, তার একটি দোকান রয়েছে এবং বাবার সাথে মিলে ঠিকেদারি কাজ করেন৷ গত কয়েকদিন ধরে এলাকার মাফিয়ারা তাদের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করে৷ এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল৷ গতকালকে ঝুটন খানের রাস্তা আটকে মাফিয়ারা তাকে টাকা না দিলে খুন করে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিয়েছিল৷ কিন্তু তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ তিন মাফিয়া সুমন চৌধুরী, সুমন ঘোষ ওরফে টাইগার এবং সন্তোষ দাস ঝুটনের বাড়িতে দা ও পিস্তল নিয়ে চড়াও হয়৷ ঝুটনকে পিস্তল দেখিয়ে তার বাবা আলেখ খান ও স্ত্রী সালমা আখতারকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে৷ তখন ঝুটন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসছে দেখে মাফিয়ারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ আক্রান্তদের সঙ্গে সঙ্গে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঝুটন জানিয়েছেন৷ এদিকে, মাফিয়াদের নাম উল্লেখ করে জিবি ফাঁড়িতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তারের কোন খবর নেই৷ হঠাৎ করে মাফিয়ারাজ বেড়ে চলায় আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকার জনগণ রীতিমত আতঙ্কগ্রস্ত৷ প্রশাসন মাফিয়ারাজ দমনে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে তা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে বলেও ধারণা করা যাচ্ছে৷ এদিকে, শনিবার নিয়ে তোল্লা আদায় করার চেষ্টা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শহরতলীর বলদাখাল এলাকায়৷ চন্দ্রপুর থেকে চৌদ্দদেবতাবাড়ি রুডের বলদাখাল এলাকায় একটি সুকলে শনিবার মেঘালয়ের একটি এভিয়েশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা ক্রু এর প্রশিক্ষণের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন৷ এই সময় একদল দুসৃকতি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে হাজির হয়৷ ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য যেসব কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে৷ টাকা না দেওয়া হলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়৷ মুহুর্তের মধ্যেই ঐ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ কোনরকমে খবর দেওয়া হয় পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারকে৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছে৷ ততক্ষণে দুসৃকতিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়৷ পরে পুলিশ প্রহরায় সেখানে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়৷ পুলিশ ঐ সংস্থার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দিয়ে আগরতলায় নিয়ে আসেন৷ বিকালেই তারা মেঘালয়ে ফিরে গিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *