বৈঠকই সার, জেল পলাতক আসামীদের পেলনা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২২ অক্টোবর৷৷ শনিবার দিনভর জেলে তদন্ত চালায় শীর্ষ আধিকারিকগণ৷ জেল আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে ডিআইজি উত্তম মজুমদার, আইজি প্রিজন শান্তনু দেববর্মা এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ওয়াই পি সিং৷ জেল সূত্রে খবর দিনভর বৈঠক শেষে ঘটনায় বিন্দুমাত্র ক্লু খুঁজে পাননি তাঁরা৷ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া তিনজন স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা, রবীন্দ্র ত্রিপুরা ও মিলন দেববর্মা তাদের নামে যাবৎজীবন সাজা ঘোষণা করে আদালত৷ কিন্তু শনিবার খুনের সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের নামে বিশালগড় থানায় মামলা দায়ের করেন জেল সুপার সন্তোষ বাহাদুর৷ যার নম্বর ১১১/১৬৷ ভারতীয় দন্ডবিধির ২২৪/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেন তদন্তকারী অফিসার তথা বিশালগড় থানায় ওসি সত্যেন বসুরায় চৌধুরী৷ তাছাড়া রীতিমত তুলোধূনো করা হচ্ছে জেল সুপার বাহাদুর বাবুকে৷ তবে তদন্তের সফলতা আসবে বলে জানান শীর্ষ মহল আধিকারিকরা৷ এদিকে ঘটনার বিবরন জানতে সংশোধনাগারে ফোন করলে কেউ নেই বলে ফোনের রিসিভার তুলে রেখে দেওয়া হয়৷ অপরদিকে জেলায় পুলিশ সুপার সুদীপ্ত দাস জানান কয়েদীদের পাহারায় ব্যবস্থা কঠোর করতে নির্দেশ দেন৷
প্রসঙ্গত, ধর্ষণ ও খুনের দায়ে ডক্ত তিনজনকে আদালত যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে৷ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে৷ তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও কোন খবর ছিল না সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের৷ যখন ঘড়ির কাটায় আটটা বাজে তখন প্রহরী দেখতে পায় ৫ নং টাওয়ারের উপর একটি গেঞ্জি ঝুলে রয়েছে৷ তখন তাড়াতাড়ি সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখেন ৭টা ২৫ মিনিটে তিনজন আসমী পালিয়ে গিয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে রক্ষী সাইরেন বাজিয়ে দেন এবং কারাগারের কয়েদীদের সংখ্যা গণনা করে দেখেন তিনজন কম৷ তখনই জানাজানি হয় যে তিন কয়েদী পালিয়ে গিয়েছে৷ রাজ্যের প্রতিটি থানায় দ্রুত বার্তা পাঠানো হয়৷ চবিবশ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়েছে৷ এখনও জেল পলাতক আসামীদের কোন হদিশ পায়নি পুলিশ৷ যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়নি৷