ঠেলার নাম বাবাজি, গণচাপে পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুন৷৷ আগরতলা শহর এলাকা হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পর অবশেষে শীতঘুম থেকে জেগে উঠেছে পুলিশ৷ মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বেশ কিছু নেশা জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার করেছে৷ এই ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে৷ তার নাম দীপঙ্কর বসাক৷ বাড়ি প্রতাপগড় এলাকায়৷ তার বিরুদ্ধে মামলা গৃহীত হয়েছে৷ জানা যায়, গত পরশু মহারাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ণ এলাকার কয়েকটি ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আগরতলা পূর্ব থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল৷ আগরতলা  শহর এলাকাকে বিশেষ করে মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকাকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করা এবং হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের দাবি জানানো হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত একপ্রকার চাপের মুখেই পুলিশ মহারাজগঞ্জ বাজারে নেশা বিরোধী অভিযানে নামতে বাধ্য হয়েছে৷ অবশ্য এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মহারাজগঞ্জ আউট পোস্টের পুলিশ জানিয়েছে৷ উল্লেখ্য, রাজধানী আগরতলা শহর এলাকা সংসৃকতির পীঠস্থান বলেই পরিচিত৷ সংসৃকতির এই পীঠস্থানকে কলুষিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে একাংশের সমাজদ্রোহী ও অতি মুনাফা লোভী নেশা সামগ্রী পাচারকারীরা৷ তাদের কবলে পড়ে আগরতলা শহর কলঙ্কিত হচ্ছে৷ আগরতলা শহর এলাকায় প্রতিনিয়ত  ফেন্সিডিল, কোরেক্স সহ নানা নেশাজাতীয় সামগ্রী মজুত হচ্ছে৷ এসব সামগ্রী আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে৷ শুধু বাংলাদেশের যুব সমাজই নয়, এরাজ্যের যুব সমাজও এসব নেশাসামগ্রীর কবলে পড়ে মারাত্মকভাবে কলুষিত হচ্ছে৷ এই অধঃপতনের হাত থেকে সমাজ ব্যবস্থাকে  রক্ষা করতে এবং আগরতলা শহরের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য সুশীল সমাজ জোরালো দাবি তুলেছেন৷ তাদের অভিযোগ পুলিশ সবকিছু জেনেশুনেও কালো টাকা হাতানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ সমাজ ব্যবস্থা কলুষিত হওয়ার জন্য আরক্ষা প্রশাসনকেই দায়ী করে চলেছেন সুশীল সমাজ৷ পুলিশ কঠোর মনোভাব গ্রহণ করলে সংসৃকতির পীঠস্থান আগরতলাকে আরো স্বচ্ছতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷