আগরতলা, ১১ মে (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতির সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে ২৪ ঘন্টায় ভাইরাস-এ সংক্রমিত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, করোনা-র দ্বিতীয় ঢেউ-এ গত ২৪ ঘন্টায় সবর্োচ্চ ৪৬৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন৷ স্বাভাবিক ভাবেই নমুনা পরীক্ষায় সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণে সংক্রমিত-র হার বেড়েছে৷ কিন্ত, ১১ জনের মৃত্যু ত্রিপুরায় করোনাকালে সবচেয়ে ভয়ংকর নজির স্থাপন করেছে৷ কারণ, সর্বকালের সবর্োচ্চ মৃত্যুর ঘটনার সাথে মৃতের তালিকায় যুব প্রজন্মের করোনা আক্রান্ত-ও রয়েছেন৷ এদিকে, ১৩৭ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি-ও পেয়েছেন৷ তবে চিন্তা রীতিমত বাড়িয়ে রেখেছে, নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৭১ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থান করছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ২৯১৭ জন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরটি-পিসিআর ১০৮১ এবং র্যাপিড এন্টিজেনের মাধ্যমে ৫২০৭ জন মোট ৬২৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে, আরটি-পিসিআর ৫৪ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন-এ ৪১২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪৬৬ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে৷
তবে, সামান্য স্বস্তির খবরও রয়েছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৭ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে৷ তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৯১৭ জন৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৩৮১৫৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৩৪৭৬১ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার ৫.০২ শতাংশ৷ তেমনি, সুস্থতার হার ৯১.২৪ শতাংশ৷ এদিকে মৃতের হার ১.১০ শতাংশ৷ নতুন করে ১১ জনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৪১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষে থাকছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ২৭১ জন, দক্ষিন জেলায় ৩৯ জন, গোমতি জেলায় ১৪ জন, ধলাই জেলায় ২৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৪২ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৩৬ জন, উনকোটি জেলায় ২৮ জন এবং খোয়াই জেলায় ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাতে, দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷