আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে পণ্য, আগরতলা আইসিপি দিয়ে আজ ঢুকবে রাজ্যে, যাবে অসমেও

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ কলকাতা থেকে নৌ পথ ডিঙিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে পণ্য৷ আগামীকাল বৃহস্পতিবার আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে ওই পণ্য ত্রিপুরায় ঢুকবে৷ একইসাথে পণ্য অসমে যাবে৷ ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড এবং ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল এসে পৌঁছেছে৷ বাংলাদেশের নদীবন্দর পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অঙ্গ হিসেবে ওই পণ্য এসেছে৷ ’’সেজুতি’’ জাহাজ কলকাতা থেকে ওই পণ্য চট্টগ্রাম নদীবন্দরে নিয়ে এসেছে৷


প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ তেমনি ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহণে দুই দেশের মধ্যে এসওপি স্বাক্ষরিত হয়৷ সে-মোতাবেক পণ্য পরিবহণের পরীক্ষামূলক সূচনা হয়েছে৷


পরীক্ষামূলক প্রথম চালান হিসেবে ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড আর ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল নিয়ে গত ১৪ জুলাই কলকাতার নদীবন্দর থেকে চট্টগ্রাম নদীবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ‘সেজুতি’ নামের একটি জাহাজ৷ জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নদীবন্দরে নোঙর করেঊ এর পর অনুষ্ঠানের শেষে জাহাজ থেকে পণ্য গাড়িতে তুলে কে.জে. শিপিং৷ চট্টগ্রাম নদীবন্দর থেকে রড ও ডালবোঝাই চারটি ট্রেইলর বুধবার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছেঊ
বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই পণ্য গ্রহণ করা হবে৷ এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন বলে আগরতলা স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে৷ করোনা পরিস্থিতির জন্য বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে না৷


এদিকে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের পরীক্ষামূলক এই ট্রানজিট চালানের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে সে-দেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড৷ এর মধ্যে ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি প্রতি চালান ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি মেট্রিক টন ২০ টাকা, সিকিউরিটি চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ১০০ টাকা, এসকর্ট চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ টাকা, বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ১০০ টাকা, কন্টেইনার স্ক্যানিং ফি প্রতি কন্টেইনার ২৫৪ টাকা৷ এছাড়া ইলেকট্রিক লক অ্যান্ড সিল ফি হিসেবে বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ দিতে হবে৷ প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে আশুগঞ্জ নদীবন্দর ব্যবহার করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পরিবহণ করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *