লকডাউন : সীমান্ত এলাকায় খাদ্যের তীব্র সংকট : সিপিএম

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুলাই৷৷ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় লকডাউনের ফলে খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং অবিলম্বে ওইসব এলাকায় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার দাবী জানিয়েছে সিপিএম৷ দলের রাজ্য কার্য্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবী জানিয়েছেন বিধায়ক তপন চক্রবর্তী, বিধায়ক সুধন দাস, বিধায়ক রতন ভৌমিক প্রমুখ৷ একই সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিক সহ সমস্ত শ্রমিকদের করোনা পরিস্থিতিতে যে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা সেখানে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী শহিদ চৌধুরী৷


সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হয়ে দাবি করেন সীমান্ত এলাকায় এসময়ে মানুষ সমস্যায় রয়েছে, আর্থিক সংকটে আছে৷ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে৷ খাদ্যের কোন ব্যবস্থা নেই৷ কোন ব্যবস্থা না করেই লকডাউন দেওয়া হয়েছে৷ তারা আরও অভিযোগ করেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, নার্স তাদের সুরক্ষা সামগ্রী পর্যাপ্তভাবে দেওয়া হয়নি৷ এখন চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন৷ করোনা রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যাপক পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান৷

এদিকে সীমান্ত এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ যারা সমস্যায় রয়েছে তাদেরকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী এবং ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানানো হয়েছে৷ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে হকারদের যে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে তাতে সবাইকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রতন ভৌমিক৷ তিনি বলেন সব পত্রিকা হকারদেও আর্থিক সাহায্য করা হয়নি৷ তাছাড়া রেগা, টুয়েপে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাজ প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে৷


সিপিএম পশ্চিম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ ১৭ জুলাই থেকে সীমান্ত এলাকায় সম্পূর্ণ লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেই মোতাবেক চলছে সম্পূর্ণ লক ডাউন৷ এই লক ডাউনে দারুন সঙ্কটে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা৷ এই সমস্ত এলাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ গরীব অংশের৷ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে অসুবিধা হচ্ছে৷ পরিষেবা পাচ্ছেন না৷ গবাদি পশুর চিকিৎসা হচ্ছে না৷ সরকার প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেবে৷ কিন্তু সেই এলাকায় বসবাসকারী সমস্ত মানুষদের খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করার দাবি জানান সিপিএম পশ্চিম জেলার সম্পাদক পবিত্র কর৷ একটা নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খোলার ব্যবস্থা করা, কৃষি কাজ অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি৷ সোমবার ভানুঘোষ স্মৃতি ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবির বিষয়ে জানান তিনি৷ এই ক্ষেত্রে জেলা শাসক ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *