নতুন আক্রান্ত ৯৮, আরও একজনের মৃত্যু, সুস্থ ৬৬

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুলাই৷৷ রাজ্যে আরও ৯৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে এই ঘোষণা দেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদিন ৩৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ৯৮ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ অন্যদিকে, এজিএমসিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ আক্রান্ত ৯৮ জনের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ১২ জন, খোয়াই জেলায় চারজন, উত্তর জেলায় ২০ জন, গোমতী জেলায় ২৫ জন, দক্ষিণ জেলায় ছয়জন, ধলাই জেলায় ১৩ জন, সিপাহীজলা জেলায় ১৫জন এবং ঊনকোটি জেলায় একজন৷ আক্রান্তদের মধ্যে ২৮ জন বিমানযাত্রী৷ সাতজন করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিল৷ এন্টিজেন্ট টেস্টে ৬২ জন রোগী সনাক্ত এবং একজন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে এসেছেন৷ এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে বুধবার ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সুস্থ হয়ে যাওয়ায়৷


করোনা এবার ত্রিপুরা পুলিশের সদর দফতরে থাবা বসিয়েছে৷ সদর দফতরে কর্মরত এক পুলিশ কর্মীর দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ তাই আজ অর্ধদিবস বন্ধ রেখে সমগ্র কার্যালয় স্যানিটাইজ করা হয়েছে৷ ওই পুলিশ কর্মীর সংস্পর্শে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পর গৃহে একান্তবাসে পাঠানো হয়েছে৷ ত্রিপুরা পুলিশের পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ২,১৮৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ১,৫৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন৷

মঙ্গলবার নতুন করে ত্রিপুরায় ৯০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ট্যুইট করে এই ঘোষণা করেছিলেন৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ২,৭৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ৯০ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ আক্রান্তদের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ২৯, সিপাহ্ত্রজলায় ৬, খোয়াইয়ে ৯, দক্ষিণ জেলায় ৭, গোমতি জেলায় ৭, উত্তর জেলায় ১৬, ধলাই জেলায় ১২ জন এবং ঊনকোটি জেলায় ১ জন আক্রান্ত৷ এদিকে, গতকাল বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে ৯৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন৷ তাদের মধ্যে ৩০ জন বিএসএফ জওয়ান রয়েছেন৷ মঙ্গলবার করোনা আক্রান্তের তালিকায় পুলিশ মুখ্য কার্যালয়ে কর্মরত কর্মীকে আজ কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভরতি করা হয়েছে৷


ত্রিপুরা পুলিশের পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, একজন কর্মীর দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে৷ তাই, অর্ধদিবস বন্ধ রেখে সমগ্র কার্যালয় স্যানিটাইজ করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা পুলিশে ইতিপূর্বেও কর্মীদের দেহে করোনা-র সংক্রমণ পাওয়া গেছে৷ এখন করোনা মুখ্য কার্যালয়ে থাবা বসিয়েছে৷ তাতে পুলিশ কর্মীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে৷ কারণ, সারা দেশেই প্রচুর পুলিশ কর্মী করোনা মোকাবিলায় নিজেরাই সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন৷ অনেকের মৃত্যুও হয়েছে৷
একসময় ত্রিপুরায় বিএসএফ জওয়ানরা একের পর এক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ বাদ যায়নি তাঁদের পরিবারও৷ এখন করোনা যুদ্ধে সামনের সারির সৈনিক পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবার করোনা-র শিকার হচ্ছেন৷ সিপাহিজলা জেলার মেলাঘর থানা করোনা-র নিশানায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ বুধবার নতুন করে ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে দুজন করোনা সংক্রমিত পুলিশ কর্মীর স্ত্রী ও সন্তান৷ সবমিলিয়ে মেলাঘর থানায় ৮ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷


মেলাঘর থানার জনৈক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং দুই মহিলা কনস্টবল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ আজ ৯ জনের রেপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ৪ জনের দেহে করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে৷ তিনি বলেন, আজ দুই কনস্টেবল এবং করোনা আক্রান্ত সাব-ইন্সপেক্টরের স্ত্রী ও সন্তানের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ তাঁর দাবি, থানার বাকি কর্মী এবং সাব-ইন্সপেক্টরের স্ত্রী ও সন্তানের সংস্পর্শে এসেছেন যাঁরা তাঁদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করা হবে৷
এদিকে, বিশ্রামগঞ্জ থানায় গত পরশু ২৮ জনের এবং আজ ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তাঁদের রিপোর্ট এখনও আসেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *