নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুলাই৷৷ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র আপত্তিতে ত্রিপুরার ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট-এ গেট নির্মাণের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে৷ জিরো লাইন সহ তিনটি গেট নির্মাণ কাজ থমকে রয়েছে৷ ফলে, ত্রিপুরার সিপাহুজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার শ্রীমন্তপুরে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট চালু হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷
বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট পরিচালনায় ল্যান্ডপোর্ট অব অথরিটিকে (এলপিএ) দায়িত্ব দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ সে-মোতাবেক স্থলবন্দর আধুনিকীকরণ এবং সুরক্ষার প্রশ্ণে তিনটি গেট এবং কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল এলপিএ৷ কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সম্ভব হলেও জিরো লাইন সহ গেট নির্মাণে আপত্তি জানায় বিজিবি৷
শ্রীমন্তপুরে আইসিপি উন্নতীকরণে এবং পরিচালনায় ত্রিপুরা সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থের মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকারের নির্দেশে শিল্পোদ্যোগ নিগম শ্রীমন্তপুরে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করে দেয়৷ স্থলবন্দর আধুনিকীকরণের কাজ দ্রুতগতিতে চলেছে ঠিকই, কিন্তু জিরো লাইনে গেট নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না৷
এ-বিষয়ে শিল্পোদ্যোগ নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় বলেন, শ্রীমন্তপুর আইসিপি-র উন্নতীকরণে যাবতীয় কাজ সমাপ্ত হয়ে গেছে৷ কাঁটাতারের বেড়াও নির্মাণ হয়েছে৷ কিন্তু, গেট নির্মাণ করা যাচ্ছে না৷ তাঁর কথায়, বিজিবি-র আপত্তিতে জিরো লাইন সহ তিনটি গেট নির্মাণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ বিজিবি-র এই আপত্তির বিষয়ে বিএসএফ-এর মাধ্যমে ত্রিপুরা সরকারকে জানিয়েছে৷
টিঙ্কুবাবু বলেন, বিষয়টি ঢাকাস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের দৃষ্টিতে নেওয়া হয়েছে৷ দুই দেশের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর কথায়, সোনামুড়ায় জেটি নির্মাণের কাজ প্রায় সমাপ্ত হতে চলেছে৷ ফলে খুব শীঘ্রই নদীপথে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে৷ তাতে শ্রীমন্তপুর আইসিপি-র কদর আরও বেড়ে যাবে৷ তাঁর দাবি, শ্রীমন্তপুর আইসিপি পুরোমাত্রায় চালু হলে বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ভারত-বাংলা উভয় দেশ উপকৃত হবে৷
এদিকে, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা শ্রীমন্তপুর আইসিপি-র উন্নতীকরণে গেট নির্মাণে বিজিবি-র বাধা দেওয়ার বিষয়ে অবগত বলে জানিয়েছেন৷