নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর৷৷ ওয়াইল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আগরতলা কলেজটিলা মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ ক্যাম্পাস এবং ইকোপার্কে আয়োজন করা হয়েছিল একটি প্রজাপতি পর্যবেক্ষণ এবং পরিবেশ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান৷ এই কর্মসচির মূল উদেদশ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের তথা তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃতি ও বন্য প্রাণের সংস্পর্শে নিয়ে আগ্রহ গড়ে তোলা৷
সকাল নয়টায় ওয়াইল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুভাশিষ সরকারের প্রারম্ভিক বত্তৃণতার পর, ত্রিপুরার উদীয়মান সকাল নয়টায় ওয়াইল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী শুভাশিষ সরকারের প্রারম্ভিব বত্তৃণতার পর, ত্রিপুরার উদীয়মান প্রজাপতিবিদ শ্রী শ্যামল দেবনাথ এবং শ্রী নিহার চন্দ্র দেব-এর তত্বাবধানে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ তারা পর্যবেক্ষণের সূচনায় বাস্তুতন্ত্রে প্রজাপতির অবস্থান, গুরুত্ব হিসাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছাড়াও প্রজাপতির ইকো সিস্টেম, ইনট্রিইনসিক, এসথেটিক, সাইন্টিফিক এডুকেশানাল, ইকোনোমিক ভ্যালু এদের অভ্যাস, বাসস্থান, বিভিন্ন পোষাক উদ্ভিদ সম্পর্কিত তথ্য সর্বোপরি এদের সংরক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করেন৷
অনুষ্ঠানে ১৭ জন অংশগ্রহণকারী নবাব এবং বার্ডউইং ২টি দলে বিভক্ত হবে শ্রী শ্যামল দেবনাথ এবং শ্রী নিহার চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে প্রায় চার ঘণ্টা প্রজাপতি পর্যবেক্ষণ করে৷ বর্যবেক্ষণে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো৷ তাদের সযত্ন প্রয়াসে দেখা মেলে সবকটি গোত্রের (৬টি) ৩৯টি ভিন্ন প্রজাতির ১৯০টি প্রজাপতির৷ উত্তর পূর্ব ভারতের বিরট প্রজাতির টাইনি গ্রাস ব্লু টিনি গ্রাস এর নামে টার মধ্যে উল্লেখযোগ্য৷
অনুষ্ঠান চলাকালীন অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ প্রদানে এবং অভিজঢতা বন্টনে প্রাণবন্ত করেন মহারাজা বীরবিক্রম কলেজের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক শ্রী দিগন্ত বসু৷ তরুণ প্রজন্মের এরূপ সক্রিয় পদক্ষেপে পরিবেশ, প্রকৃতি এ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এ রাজ্যের নতুনি দিশা পাবে৷ তাঁর সংক্ষিপ্ত বত্তৃণতায় বলেন শ্রী বসু৷
পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা, বন এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের উদোগী ভূমিকা নিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ সচেতনতামূলক এরূপ কর্মসূচিতে সবাইকে সামিল হতে আহ্বান জানিয়ে বেলা ১টা নাগাদ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন শ্রী সরকার৷