রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার নতুন পালক, চালু হলো ইউরোলজি ও প্লাস্টিক সার্জারির সুপার স্পেশালিটি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের মুকুটে আজ আরও দুটি পালক যুক্ত হয়েছে৷ আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জিবিপি হাসপাতালে আজ থেকে পথচলা শুরু করেছে ইউরোলজি ও প্লাস্টিক সার্জারির সুপার  স্পেশালিটি বিভাগ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ এই দুটি সুপার স্পেশালিটি বিভাগের উদ্বোধন করে জনগণের জন্য উৎসর্গ করেন৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ডা দিলীপ দাস, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য সচিব সমরজিৎ ভৌমিক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডা চিন্ময় বিশ্বাস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা জে কে দেববর্মা, এ জি এম সি এর অধ্যক্ষ ডা কে কে কুন্ডু প্রমুখ৷ এই দুটি সুপার স্পেশালিটি বিভাগের মধ্যে ইউরো বিভাগে কিডনি, ইউরিক ও ব্লাডার স্টোন, কনজিনিটাল কিডনি সমস্যা, ব্লাডার ও প্রোস্টেট টিউমার, ইউরেথ্রাল ইনজ্যুরি ও স্ট্রিকচার এবং পিনাইল ইনজ্যুরির চিকিৎসা করা হবে৷ ইউরোলজি বিভাগে ভবিষ্যতে সুপার স্পেশালিটি কোর্স চালু এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের সাথে যুক্ত অন্যান্য বিভাগ চালু হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব রয়েছে৷ এছাড়া, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে হ্যান্ড সার্জারি – ট্রমা অ্যান্ড ডিফেক্টস, পোস্ট ট্রমাটিক টিস্যু ও স্কিন লস কভারেজ, জন্মগত সমস্যা যেমন ক্লেফট লিপ এবং পেলেট ও হ্যান্ড ডিফোরমিটিস, পোস্ট ক্যান্সার সার্জারি ডিফেক্ট কারেকশন, বার্ন ডিফোরমিটিস কারেকশন, হােিপাস্পাডিয়াস  কারেকশন এবং এভি ফিসটুলা ফর হিমো ডায়ালাইসিস এর অপারেশন করা হবে৷ এই বিভাগে ভবিষ্যতে প্লাস্টিক সার্র্জরি সুপার স্পেশালিটি কোর্স এবং কসমেটিক সার্জারি চালু করার প্রস্তাব রয়েছে৷ উল্লেখ্য, এই দুটি বিভাগে মোট সুপার স্পেশালিটি ডাক্তার রয়েছেন ৬ জন৷ এরমধ্যে ইউরোলজি বিভাগে ৪ জন এবং প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ২ জন রয়েছেন৷ এছাড়া সুপার স্পেশালিটি ডাক্তারদের সহায়তা করার জন্য আরও ৪/৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন৷ দুটি বিভাগে এগারোটি করে মোট ২২টি শয্যা রয়েছে৷

ইউরোলজি ও প্লাস্টিক সার্জারির দুটি সুপার স্পেশালিটি বিভাগের উদ্বোধন করে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনে উদ্বোধকের ভাষণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, আজকের দিনটি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন৷ তিনি আশা ব্যক্ত করেন, এই দুটি বিভাগ আগামী দিনে খুব সুনামের সাথে জটিল অপারেসন ও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমর্থ হবে৷ পাশাপাশি রাজ্যের মানুষও এখান থেকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাবেন৷ ফলে বহিঃরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার হার অনেকটাই কমানো যাবে৷ সুপার স্পেশালিটির এই দুটি বিভাগ চালু হওয়ার সাথে সাথে ত্রিপুরার যে সমস্ত ডাক্তার রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে স্পেশালিটি বিভাগে কাজ করছেন তাদের রাজ্য ফিরে আসার যে আহ্বান রাখা হয়েছিল তাতেও সেই ডাক্তাররা সাড়া দেবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যারা যুক্ত তারা কঠোর পরিশ্রম করছেন৷ বহু জটিল অপারেশনে তারা সফলতা পাচ্ছেন৷ দপ্তরের দুর্বলতার দিকগুলি তুলে ধরার পাশাপাশি এই সমস্ত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তাদের ভালো কাজের দিকগুলিও তুলে ধরতে তিনি আহ্বান জানান৷ এতে চিকিৎসা পরিষেবার সাথে যুক্ত ডাক্তাররা মানসিকভাবে চাঙ্গা হবেন বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ডা দিলীপ দাস৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *