নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যে পাঁচজন আহত হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, এবিভিপি, এসএফআই ও এনএসইউআই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই একজোট হয়ে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির উপর হামলা চালায়৷ যদিও পাল্টা আক্রমণ করেছে এবিভিপি৷ ছাত্র রাজনীতির এই পাল্টা হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজ্যের রাজনীতির নয়া সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷ যেখানে একসময় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন কলেজগুলিতে আধিপত্য কায়েম করার জন্য পরস্পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হতো৷ এখন এই দুই দলের ছাত্র সংগঠন একজোট হয়ে শাসক বিজেপির ছাত্র সংগঠনের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ প্রতিরোধ গড়ে তুলার চেষ্টা করছে একজোট হয়ে৷ ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়েই এরাজ্যের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস কি অদূর ভবিষ্যতে কাছাকাছি চলে আসছে৷
যদিও রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই৷ ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস ঘোষণা দিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তারা যেকোন আঞ্চলিক দলের সাথেও সমঝোতা করতে পারে৷ তাহলে কি এরাজ্যে এমনটা হতে যাচ্ছে৷ মঙ্গলবার কৈলাসহর কলেজে শাসক বিজেপির ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যেভাবে একজোট হয়ে হামলা চালিয়েছে এসএফআই ও এনএসইউআই, তাতে সিপিএম কংগ্রেসের নৈকট্য প্রকাশ্যে আসছে৷
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলেজ চত্বরে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ অধ্যক্ষ বিষয়টি লক্ষ করে আগাম কিছু ব্যবস্থা নিলেও তাতে বিশেষ কোনও কাজ হয়নি৷ বেলা বারার সাথে সাথে এই তিন ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে৷ এর ফলে কলেজ চত্বর সংলগ্ণ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ পরিস্থিতি থমথমে হয়ে উঠে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএফআই এবং এনএসইউআইয়ের সদস্যরা একজোট হয়ে দলবদ্ধভাবে এবিভিপি সদস্যদের উপর আক্রমণ চালায়৷ পাল্টা আক্রমণ করে এবিভিপিও৷ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখে অনেকে কলেজ চত্বর ত্যাগ করেন৷ জান্য গিয়েছে, এবিভিপি, এসএফআই এবং এনএসইউআইয়ের সদস্যদের মধ্যে চারজন আহত হয়েছে৷ বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে৷ কী কারণে এই সংঘর্ষ, তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি৷ যতদূর জানা গিয়েছে, কলেজে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সদস্যপদ গ্রহণ করাকে নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ তবে উত্তেজনা প্রশমন করতে কলেজ চত্বরে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়৷