সরকারী কর্মচারীদের চাঁদা, ভয়ে না শুভাকাঙ্খি হিসেবে, সিপিএমকে স্পষ্ট করতে বলল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি৷৷ সরকারী কর্মচারীদের কাছ থেকে নির্বাচনী তহবিল গঠনে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছে শাসক দল সিপিএম৷ সেই চাঁদা বলপূর্বক আদায় করা হচ্ছে, নাকি শুভাকাঙ্খি হিসেবে কর্মচারীরা সিপিএমকে দিচ্ছে তা স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি৷ পাশাপাশি সরকারী কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে তহবিল গঠনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা৷

বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা এক সাংবাদিক সন্মেলনে বলেন, সিপিআইএম জুলুম চালাচ্ছে কর্মচারীদের উপর৷ গড়ে প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে৷ যে কর্মচারী মাসে ১০ হাজার টাকা রোজগার করেন তাঁকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে৷ আর এজন্য পার্টির রসিদে নির্বাচনী তহবিলের কথা বলা হচ্ছে৷ কিন্তু রাজ্যের সব কর্মচারীর কাছ থেকে এই পরিমাণ অর্থ আদায় করলে মোট অর্থাঙ্কের পরিমাণ ৪৫০ কোটি টাকা দাঁড়াবে৷ এই অর্থ কোন খাতে কোথায় ব্যায় করা হবে তা নিয়ে জোরালো প্রশ্ণ চিহ্ণ তৈরি হয়েছে৷ বিষয়টি কোনওভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যায়না৷ এই বিশাল পরিমাণের টাকা কোথায় লাগানো হবে তার ব্যাখ্যা সিপিআইএমকে দেওয়া প্রয়োজন৷ অস্ত্র কিনবে না-ভোট কিনবে, এর জবাব দিতে হবে তাঁদের৷ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বিজেপি৷ রাজ্যের নির্বাচনী প্রভারী ড হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, বলপূর্বক কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা গর্হিত অপরাধ৷ এ বিষয়ে সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৮৪ ধারায় মামলা করবে বিজেপি৷ সিপিআইএম যদি বলে স্বেচ্ছায় কর্মচারীরা অর্থ দিচ্ছেন, তবে কোন অবস্থাতেই তাঁদের নির্বাচনী কাজে লাগানো যাবে না৷ কর্মচারীদের কোনও ভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায় না৷ আর এক্ষেত্রে কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় অর্থদানের কথা বললে তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ণচিহ্ণ তৈরি হয়৷ ফলে দুটি ক্ষেত্রেই সিপিআইএম এর সমস্যা তৈরি হবে৷ এই বিষয়টি ছেড়ে দেবে না বিজেপি৷ তিনি সিপিএমের কাছে এই বিষয়ে স্পষ্টিকরণ দাবি করেছেন৷

রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী উল্লেখ করেন, রাজ্যের মানুষ সিপিআইএমকে চায় না, কর্মচারীরাও চায় না৷ কিন্তু চাপের মুকে পরে তাঁরা টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ কিন্তু যাঁরা স্বেচ্ছায় অর্থ দিচ্ছেন তাঁরাও তাঁদের নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *