নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২৪ সেপ্টেম্বর: স্বামীর হাতুড়ির আঘাতে স্ত্রী গুরুতর অবস্থায় ধলাই জেলার কুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত স্ত্রীর নাম নিয়তি গৌড়(৩২)। এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কমলপুর থানার বামনছড়া পঞ্চায়েতের গুরুচরণ পাড়ায়।
ঘটনার বিবরন দিয়ে আহত মহিলার আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আহত মহিলার স্বামী মহেশ গৌড়(৪১) তার স্ত্রী নিয়তি গৌড়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতো। প্রতিদিন মদমত্ত অবস্থায় বাড়ীতে এসে মারধর করতো। এই যন্ত্রনায় প্রায় আড়াই মাস যাবত স্বামীর ঘর থেকে বেড়িয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ী থাকতেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কমলপুর থানার বামনছড়া পঞ্চায়েতের গুরুচরণ পাড়ায় রাস্তা দিয়ে কাজে যাচ্ছিল। এমন সময় মহিলার স্বামী মহেশ গৌড় হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রী নিয়তির মাথায় পর পর কয়েকটি সাঙ্ঘাতিকভাবে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা কমলপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে ১১টা নাগাদ গুরুতর আহত মহিলাকে বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে আসে। মহিলার মাথা ফেটে যায়। মোট ১১টি সেলাই করা হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে ধলাই জেলার কুলাই হাসপাতালে রেফার করে দেন। বর্তমানে মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ৫ বছর আগে মহেশ গৌড় তার বাবা সুভাষ গৌড় কে দা দিয়ে খুন করে। সাক্ষীর অভাবে খালাস পায়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। মহেশ গৌড় পলাতক।