তৃণমূল জমানায় সরকারি দফতরে কত নিয়োগ, তথ্য সঙ্কলনে নবান্ন

কলকাতা, ১৮ জানুয়ারি (হি.স.) : কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীদের ‘জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই সব দফতরকে লিখিত নির্দেশে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারের সর্বত্র নিয়োগের সবিস্তার তথ্য দিতে হবে বিভাগীয় প্রধানদের। নবান্নে শুরু হয়েছে সেই তথ্য সঙ্কলন।

মুখ্যসচিবের বার্তা, ২০১১-র মে (ওই সময়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল সরকার) থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কত নিয়োগ হয়েছে, সেই তথ্য সরকারের নির্দিষ্ট ই-মেলে জানাতে হবে। জানাতে হবে গ্রুপ-এ, বি, সি এবং ডি-তে নিয়োগের সংখ্যা। চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ-তথ্যের পাশাপাশি, অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং অন্যান্য পদে কোথায় কত নিয়োগ হয়েছে, দিতে হবে তার ব্যাখ্যাও।

বিভিন্ন সরকারি অফিস ছাড়াও পুরসভা, পঞ্চায়েত, পুলিশ, স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরে যত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকা নবান্নের কাছে পাঠাতে হবে দফতরগুলিকে।

সেই রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, সচিব কিংবা জেলাশাসকদের সই থাকা বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘কাউকে বঞ্চিত করিনি। বিপুল চাকরি দিয়েছি। শুধু এমএসএমই-তেই ১ কোটি ১৫ লক্ষ লোক চাকরি পেয়েছেন। যারা বড় বড় কথা বলছে, তাদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেব। কেন্দ্রে ৪০% বেকারত্ব বেড়েছে। আমাদের ৪০% দারিদ্র কমেছে।’’
এই উদ্যোগের পিছনে আরও একটি যুক্তি খাড়া করছেন নবান্নের কর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে হাজার হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশই নবান্নকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে। সেই সব কর্মীদের বেতন মেটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছে তারা। বেতন না পেয়ে অনেক জায়গায় কর্মী বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে।