ডোমকল, ১৪ জানুয়ারি (হি. স.) : মাছ ধরতে গিয়ে পদ্মানদীতে ডুবে মৃত্যু মৎস্যজীবীর। রবিবার সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে মু্র্শিদাবাদের সাগরপাড়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সিংপাড়ায়। পুলিশ জানায় পদ্মায় স্রোত না থাকায় দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিষ্ণুপদ হালদার(২৬)। তাঁর বাড়ি সাগরপাড়ার সিংপাড়া কলোনিতে। প্রতিদিনের মতো রবিবারও ওই যুবক সিংপাড়ার নিচে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের পদ্মানদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল। তার মা নীলা হালদার জানান, “সকাল ৭ টা নাগাদ বাড়ি থেকে খাওয়াদাওয়া করে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছেলে। কিছুক্ষণ পর শুনতে পাই ছেলে পদ্মানদীতে তলিয়ে গিয়েছে।” এই খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সাগরপাড়ার পুলিশ ও সিংপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরাও ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশ ও বিএসএফের সহায়তায় স্থানীয় জেলেরাই জাল ফেলে তলিয়ে যাওয়া বিষ্ণুপদ হালদারের তল্লাশি শুরু করে। ঘণ্টা কয়েকের প্রচেষ্টায় দুপুর নাগাদ উদ্ধার হয় দেহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডোঙায় চেপে মাছ ধরার জাল গোটাচ্ছিলেন ওই যুবক। সেই সময় অসাবধানতাবশত জালে পা জড়িয়ে নদীর মধ্যে পড়ে যান। তার পর আর তিনি উঠতে পারেননি। কাছাকাছি কেউ না থাকায় তাকে উদ্ধারও করা যায়নি।
পুলিশ জানায় পদ্মায় স্রোত না থাকায় দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্রোত থাকলে অত সহজে যুবককে পাওয়া যেত না। ওই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, মাত্র দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বিষ্ণুপদ হালদারের। নদীতে মাছ ধরেই তারঁ জীবিকা নির্বাহ হত। বাড়িতে স্ত্রী ও বৃদ্ধা মা রয়েছে। হঠাৎ করেই যুবকের মৃত্যুতে মাথার আকাশ ভেঙে পড়ল গোটা পরিবারের। কীভাবে চলবে সংসার, তা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী।