নয়াদিল্লি, ৯ অক্টোবর (হি.স.) : মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান-সহ ৫ রাজ্যে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাকি তিনটি রাজ্য হল-ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম। সোমবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ ও ১৭ নভেম্বর। মধ্যপ্রদেশে ভোটগ্রহণ হবে ১৭ নভেম্বর; মিজোরামে ৭ নভেম্বর, রাজস্থানে ২৩ নভেম্বর এবং তেলেঙ্গানায় ৩০ নভেম্বর। পাঁচটি রাজ্যেই ভোটের ফল ঘোষণা হবে ৩ ডিসেম্বর।”
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “বিগত ৪০ দিনের মধ্যে ৫টি রাজ্য পরিদর্শন করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দল, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, “মিজোরামে মোট ভোটার সংখ্যা ৮.৫২ লক্ষ, ছত্তিশগড়ে ২.০৩ কোটি, মধ্যপ্রদেশে ৫.৬ কোটি, রাজস্থানে ৫.২৫ কোটি এবং তেলেঙ্গানায় ৩.১৭ কোটি। প্রায় ৬০ লক্ষ প্রথমবারের ভোটার (১৮-১৯ বছর) ৫টি রাজ্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তরুণ ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে, ২৯০০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্র তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হবে। পাঁচটি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৬৭৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ১.৭৭ লক্ষ ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।”
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “১৭,৭৩৪টি মডেল ভোট কেন্দ্র থাকবে এবং ৮,৯১২টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মহিলা কমান্ডে থাকবে।” ৫ রাজ্যে ভোট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “পাঁচটি রাজ্যে ৯৪০টিরও বেশি আন্তঃরাজ্য সীমান্ত চেক পোস্টের সঙ্গে, আমরা অবৈধ নগদ, মদ, বিনামূল্যে এবং মাদকের যে কোনও আন্তঃসীমান্ত গতিবিধি রুখতে সক্ষম হব।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ে দুই দফায় এবং বাকি চার রাজ্যে এক দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ৯০ বিধানসভা আসনের ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার মাওবাদী উপদ্রুত ১৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ১২ নভেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার ৭২টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ২০ নভেম্বর। মধ্যপ্রদেশ এবং মিজোরামে একই দিনে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল কমিশন। ২৩০টি আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট হয়েছিল ২৮ নভেম্বর। ওই দিন ৪০ আসনের মিজোরামেও ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ২০১৮ সালে ২০০ বিধানসভা আসনের রাজস্থান এবং ১১৯ আসনের তেলঙ্গানার ভোটগ্রহণও হয়েছিল একই দিনে— ৭ ডিসেম্বর। পাঁচ রাজ্যেই ভোটগণনা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর।
বর্তমানে ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। ওই দুই রাজ্যেই বিজেপির সঙ্গে তাদের সরাসরি লড়াই। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। সেখানে এ বার ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে কংগ্রেস এবং বিজেপির ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা। অন্য দিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মিজোরামে মূল লড়াই ক্ষমতাসীন মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের।