নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ অক্টোবর৷৷ রাজ্যে রান্নার গ্যাসের মূল্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ এলপিজির পাশাপাশি টিএনজিসিএলের দামও বাড়ানো হয়েছে৷ শুধু তাই নয় পেট্রোল ডিজেরে মূল্যবৃদ্ধিতেও জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে৷ এই পরিস্থিতিতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে৷
এদিকে, সিপিএম রাজ্য কমিটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির সাথে তাল রেখে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারও সম্প্রতি পি এন জি (পাইপ বাহিত রান্নার গ্যাস) এবং সি এন জি (গাড়ীর জ্বালানী)-র দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি করেছে৷ ত্রিপুরা ন্যাচারাল গ্যাস লিমিটেড-এর এক সিদ্ধান্তে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় প্রতি কেজি সি এন জি-র দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা এবং অন্যান্য জেলাগুলিতে ৫৭ টাকা থেকে বেড়ে ৬৩ টাকা হয়েছে৷ অনুরূপ হারে রান্নার গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে৷ বিগত ৪২ মাসে এটা নিয়ে ১২ বার সি এন জি এবং পি এন জি উভয়েরই দাম বাড়ানো হলো৷ গড়ে বছরে ৪ বার বাড়ানো হয়েছে৷
৩রা মার্চ, ২০১৮-তে বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিনে প্রতি কেজি সি এন জি-র দাম ছিল ৪৮ টাকা৷ রান্নার গ্যাসের দাম ছিল প্রতি এস সি এম ১৬ টাকা ৫০ পয়সা তা বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা৷ প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়েছে৷ সি এন জি এবং পি এন জি উভয়ই ত্রিপুরার মাটির তলা থেকে উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাস৷ বাইরে থেকে আমদানিকৃত কোন পদার্থ নয় এবং পরিশোধনের কোন প্রয়োজন নেই৷ এ ভাবে চড়া হারে দাম বাড়ানোর কোন প্রয়োজনই নেই৷ রাজ্য সরকারের ১৯.৫ শতাংশ রোড ডেভলাপম্যান্ট ট্যাক্স এবং কেন্দ্রের বাড়তি শুল্ক চাপানোর ফলে নিরীহ জনগণ এবং বিশেষ করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের উপর এই বাড়তি বোঝা চেপেচ্ছে৷ রাজ্য সরকার রোড ডেভলাপম্যান্ট ট্যাক্সের নামে কোটি কোটি টাকা তুলে নিলেও সারা রাজ্যে কোন রাস্তারই মেরামত করা হচ্ছে না বা নতুন কোন রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প চোখে পড়ছে না৷
সি পি আই (এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী রাজ্য সরকারের এই অবিবেচনা প্রসূত, জনবিরোধী এবং স্বেচ্চাচারী সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে৷ সিপিএম দাবি জানাচ্ছে অবিলম্বে এই বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করা হউক৷ রোড ডেভলাপম্যান্ট ট্যাক্সের নামে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয়েছে তা দিয়ে সারা রাজ্যে ভেঙ্গে পড়া রাস্তাঘাট সমূহ মেরামত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছে৷

