নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বিজেপির বিদ্রোহী নেতা সুদীপ রায় বর্মণ দিনে দিনেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন৷ দলবদলের চিন্তাভাবনা প্রায় ঝেড়েই ফেলেছেন৷ নির্ভরযোগ্য সূত্রে এরকমই খবর৷ তৃণমূলের রাজ্যে যে অবস্থা এখানে বিজেপির বিদ্রোহীদের যোগদান হলে কিছুটা শক্তি দেখাতে পারত৷ কিন্তু, বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা এই মুহুর্তে দলবদলে নারাজ৷ তাঁদের সামনে এখন উভয় সংকট৷ দলে থাকলেও আগামীদিনে টিকিট কতটা মিলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তো আছেই৷ আর দেড় বছরেরও কম সময়ে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের যাদুমন্ত্র এই বিদ্রোহীরা দেখাতে পারবে কিনা তা সন্দেহের উর্ধে নয়৷
এই অবস্থায় রাজ্যে বিজেপির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ সামনে থাকলেও পাহাড় নিয়ে সমস্যা আছে৷ ত্রিপুরা মথার রাজনৈতিক রণকৌশল এখনও স্পষ্ট নয়৷ তিপ্রা মথার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রদ্যুৎ কিশোর৷ অন্যদিকে রাজমাতা বিভূকুমারী দেবী কংগ্রেসে আছেন৷ তিনি কংগ্রেস থেকে সরে গিয়েছেন এমন খবর নেই৷ এই অবস্থায় তৃণমূলকে ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে বিজেপি সফল৷ বিদ্রোহী নেতা সুদীপ রায় বর্মণ, আশিষ সাহা, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল, আশিষ দাস তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে এটা আজ বড় প্রশ্ণ৷
বিজেপির সাথে সুদীপের রফা কিভাবে হবে সেই প্রশ্ণ তো রয়েই গিয়েছে৷ সিপিএম দল বিপ্লবী কথাবার্তা মুখে বললেও কার্য্যক্ষেত্রে তারা একেবারেই সেঁকিয়ে যায়৷ শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে সিপিএম দলের ভূমিকা দেখে বিরোধী দলের প্রতি মানুষের যে বিশ্বাস ও আশ্বাস ছিল তা অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়েছে৷ সিপিএমও রাজ্যে গণভিত্তিকে কার্য্যত গণআন্দোলনে রূপ দেওয়ার শক্তি হারিয়েছে৷ এই অবস্থায় সুদীপ রায় বর্মন কোন পথে রাজনীতির সুযোগ নেবেন তা বলা মুশকিল৷ পরিস্থিতি যা সুদীপ রায় বর্মন এখন প্রায় রাজনৈতিক সন্যাসের মত আছেন৷ এই অবস্থা থেকে উত্তরণ রাজ্যে বড় ধরণের রাজনৈতিক অভূ্যত্থান ছাড়া অসম্ভব৷ বিজেপির থেকেও বিদ্রোহের নিশানা উড়িয়েই কি সুদীপ বর্মন ইতিহাস খ্যাত হয়ে থাকবেন৷