নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ভোট আসে, ভোট যায় ! রাম-বাম সব আমলেই উন্নয়নের ফিরিস্তির কথা বলেন নেতা-নেত্রীরা , বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোড়হাত করে অনুরোধ করে ভোট ভিক্ষা করেন৷ পাহাড় থেকে সমতল ফেরীওয়ালাদের মতন ভোট আদায় করার পর ভুলে যান ঐ এলাকার উন্নয়নের ফিরিস্তির কথা৷ এক জলজ্যান্ত অভিযোগ উঠে এলো সাব্রুম মহকুমায়৷ সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের ৭-নং ওয়ার্ডে শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র কমলারজোত এলাকাতে৷
এলাকার লোকজনের অভিযোগ , সাব্রুম বাজার ও সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালের বিপরীতে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে দিয়ে কমলারজোত রাস্তাটি দীর্ঘ বছর যাবত ভগ্ণদশায় পরিণত হয়েছে৷ রাস্তাটি প্রথম অবস্থায় তৈরি করার সময় পাশ ছিলো ৭থেকে ৭.৫ ফুট এবং লম্বায় ছিলো ২৩৩-মিটার৷ বর্তমানে এই রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে কমে পাশে ৪ ফুট হয়ে গিয়েছে৷ এলাকার লোকজনের অভিযোগ রাস্তার দুই পাশে যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে কিছু কিছু বাড়ির মালিকরা রাস্তার দখল করে নিজেদের বসত ঘর তৈরি করে নিয়েছেন৷ এ নিয়ে সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বহুবার লিখিত ভাবে জানানোর পরও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ৷
শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে মহকুমার সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন ওইসব এলাকার জনগণ৷ এলাকার লোকজনদের আরো অভিযোগ , এই এলাকাতে ৪০ থেকে ৫০-টি পরিবার রয়েছে৷ রাস্তার দুই পাশে জল নিষ্কাশনের জন্য নেই কোন ড্রেন, রাস্তার দুই পাশে বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও নেই স্টেট লাইট৷ দীর্ঘ বছর যাবৎ এই রাস্তাতে নেই কোনো সংস্কার৷ শুধু তাই নয় , যদি এলাকাতে হঠাৎ কোনো অগ্ণিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ঢুকতে পারবেন না দমকল গাড়ি৷ এলাকাতে কোন অসুস্থ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে না৷ জরুরী পরিষেবা গাড়ি তো দূরের কথা, অটো পর্যন্ত ঢুকতে পারে না এই সরু রাস্তা দিয়ে৷ তাদের আরও অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের শত শত লোকজন চলাচল করতে হয় প্রতিদিন৷ বর্ষা আসলে রাতের অন্ধকারে জীবজন্তুর ভয়কে মাথায় রেখে চিন্তামগ্ণ হয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়৷
এলাকার লোকজনরা বহুবার বাম আমলের পরে রাম আমলেও সাব্রুমের বর্তমান বিধায়ক থেকে শুরু করে নগর প্রশাসনকে লিখিত আকারে বলার পরও কাজের কাজ না হওয়াতে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হন ৷ এখন দেখার বিষয় খবর সম্প্রসারণ হওয়ার পর সরকার বাহাদুর কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে৷