থিম্পু, ৪ নভেম্বর : ভারতের সাথে ভুটানের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, এমন মন্তব্য করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তশেরিং তোবগে। তিনি বলেন, “ভারত ও ভুটানের সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান এবং এ সম্পর্কের ভিত্তি বহু বছরের ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছে। ভারতীয় অনেক আধ্যাত্মিক গুরু ভুটানে এসেছেন অথবা তাদের শিক্ষা ভুটানে পৌঁছেছে,” বলেন প্রধানমন্ত্রী তোবগে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহযোগিতায় ভুটানের গ্যালেফু শহরকে একটি বৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। “আমরা আশা করি, গ্যালেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি হবে একটি বৈজ্ঞানিক ও ভজরায়ন অনুশীলনের কেন্দ্র। এতে ভারতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক স্কুল ও মঠ-স্মৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক ভজরায়ন সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে,” বলেন তিনি।
ভুটান-ভারত সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মৈত্রী। তোবগে বলেন, “ভারত ও ভুটানের শীর্ষ নেতারা, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ভুটানের রাজা, উভয় দেশেই গভীর বন্ধুত্ব এবং আস্থা বজায় রেখেছেন। এই সম্পর্ক শুধু একটি সরকারি সম্পর্ক নয়, এটি একটি দৃঢ় বন্ধুত্ব।”
ভুটান ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি বিষয়ে তোবগে বলেন, “আমরা শুধু সাংস্কৃতিক সম্পর্কই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়াচ্ছি। বিশেষত, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ভারতের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আমাদের শক্তি খাতে অনেক সুফল বয়ে আনবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভুটানে গ্যালেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি একটি বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে তৈরি হচ্ছে যা ভারত এবং ভুটান ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়া এবং বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এই উদ্যোগ সফল হবে, কারণ এর পেছনে রয়েছে ভুটানের রাজ পরিবারের দৃঢ় নেতৃত্ব এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির অপ্রতিবন্ধক সমর্থন।”
আগামী ৪ থেকে ১৭ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল পিস প্রেয়ার ফেস্টিভ্যাল, যা দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায় শুরু করবে।

