আগরতলা, ১০ জুন : নিজ ঘরে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ঘটনায় চড়িলাম বাজার সংলগ্ন আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিক রাকেশ দেবনাথ রং এবং বার্নিশে কাজ করতো। অন্যান্য দিনের মতোই সে গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে বাজার করে বাড়িতে আসে। তার মার হাতে বাজার ক্রয় করা শাকসব্জি তুলে দিয়ে নিজের ঘরে দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তার মা বাবা হয়তো ভেবেছিল ছেলের আজ পরিশ্রম বেশি হয়েছে তাই ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে না উঠায় তাদের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পায় ঘরে আত্মহত্যা করেছে রাকেশ। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে তার মা সারথি দেবনাথ বাবা সুনীল দেবনাথ এবং তার বড় ভাই। তাদের চিৎকারে গ্রামের মানুষ তাদের বাড়িতে ছুটে আসে এবং এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে খবর দেয় বিশালগড় থানায়। খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ এবং আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভবেশ চৌধুরী তাদের বাড়িতে ছুটে আসে।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা জানায় খুব ভালো ছেলে ছিল রাকেশ। সব সময় কাজ আর বাড়ি নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। সে বিয়ে করেনি। তবে মাঝেমধ্যে একটু নেশা করত। হয়তো এই নেশাই তার জীবন কেড়ে নিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানায় গ্রামের প্রধান। খবর পেয়ে তার একমাত্র বোন পিঙ্কি দেবনাথ ছুটে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে ভাইকে শেষ বারের মতো দেখতে। মা এবং বোনের কান্নায় গোটা গ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বিশালগড় থানার পুলিশ মৃতদেহ ডোম দিয়ে নামিয়ে নিয়ে যায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পর রাকেশ দেবনাথ এর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নেশা ধ্বংস করে দিচ্ছে অলিগলি মহল্লা প্রতিটি পাড়াকে। নেশার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ অসহায়।এই নেশা বহু পরিবারকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। নেশার বলি হল আরও এক তরতাজা যুবক যুবক। আর কত প্রাণ গেলে নেশার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক হবে পুলিশ প্রশাসন প্রশ্ন জনমনে!