BRAKING NEWS

মুম্বই-জয়পুর এক্সপ্রেসে চলল গুলি! আরপিএফ কনস্টেবলের গুলিতে এএসআই-সহ মৃত ৪, গ্রেফতার অভিযুক্ত


পালঘর, ৩১ জুলাই (হি.স.): মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় চলন্ত জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের (১২৯৫৬) ভিতরে গুলি চালাল এক আরপিএফ কনস্টেবল। ওই আরপিএফ কনস্টেবলের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন এএসআই-সহ ৪ জন। অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে। আরপিএফ জানিয়েছে, পালঘর স্টেশন ছাড়ার পর চলন্ত জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভিতরে গুলি চালায় এক আরপিএফ কনস্টেবল। একজন আরপিএফ-এর এএসআই ও ৩ জন যাত্রীকে গুলি করে সে। এরপর দাহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অভিযুক্ত কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে।

পশ্চিম রেলের সিপিআরও জানিয়েছেন, “মুম্বই-জয়পুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে সোমবার একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। চেতন কুমার নামে একজন আরপিএফ কনস্টেবল তার সহকর্মী এএসআই টিকারাম মীনার উপর গুলি চালায় এবং ঘটনার সময় অন্য তিন যাত্রীকেও গুলি করে। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, সে নিজের সরকারী অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, আমরা তদন্ত করছি।” সিপিআরও আরও বলেছেন, “মৃত এএসআই টিকারাম মীনার নিকটাত্মীয়দের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। রেলওয়ে সুরক্ষা কল্যাণ নিধি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা, মৃত্যু তথা অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি হিসাবে ১৫ লক্ষ টাকা, সাধারণ বীমা প্রকল্প হিসাবে ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।”

নিহত চার জনের মধ্যে রেল পুলিশের এক এএসআই এবং ট্রেনটির প্যান্ট্রি কারের এক কর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাওয়া জয়পুর এক্সপ্রেসে (১২৯৫৬)। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে যখন ট্রেনটি পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় হঠাৎই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে ওই আরপিএফ কনস্টেবল। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চেতন কুমার। কী কারণে ওই আরপিএফ কর্মী এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক জন ওই আরপিএফ আধিকারিকের পূর্বপরিচিত হলেও, কারও সঙ্গেই বিবাদ ছিল না তাঁর। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, মানসিক ভাবে সুস্থ ছিলেন না অভিযুক্ত কনস্টেবল। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। ঘটনার আগের দিন তিনি নাকি বলেছিলেন, তাঁর অসহিষ্ণু লাগছে। তখন তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে নাকি তিনি জানিয়েছিলেন, একদম সুস্থ রয়েছেন। ডিআরএম নীরজ বর্মা বলেছেন, “এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরাও সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা সমস্ত দিক থেকে তদন্ত করার চেষ্টা করছি।” পশ্চিম রেলের পুলিশ কমিশনার বলেছেন, “সে (আরপিএফ কনস্টেবল চেতন কুমার) ভালো বোধ করছিল না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *