নয়াদিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বর্ডার-গাভাসকার দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনেই আবার সুবিধাজনক জায়গায় রোহিত শর্মার দল। মহম্মদ সামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার দাপটে ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় ২৬৩ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ২০। প্রথম ইনিংসে ভারত পিছিয়ে ২৪২ রানে।
ম্যাচে লোকেশ রাহুলের দ্বিতীয় অনবদ্য ক্যাচ ছিল উসমান খোয়াজার। ১২৫ বলে ৮১ রান করেন খোয়াজা। ভারতের কাছে খোয়াজার উইকেট ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ৪৬তম ওভারে রবীন্দ্র জাডেজার বলে রিভার্স সুইপ হাঁকাতে উসমান খোয়াজা ও ডেভিড ওয়ার্নার ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। খোয়াজার ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ছিল। কিন্তু ওয়ার্নারকে বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে। মহম্মদ সিরাজ নিজের প্রথম স্পেলে ওয়ার্নারকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন। বল একবার লাগল হেলমেট। দ্বিতীয়বার কনুইয়ের কাছে। সিরাজ মঞ্চটা যখন তৈরি করছেন ঠিক তখনই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা বল তুলে দেন মহম্মদ সামির হাতে। বল হাতে নিয়েই সফল সামি। সামির বল ওয়ার্নারের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার কোনা শ্রীকর ভরতের হাতে জমা পড়ে।
খোয়াজা অশ্বিন ও জাডেজার মোকাবিলা করলেও মার্নাস লাবুশেনকে (১৮) দ্রুত ফেরান অশ্বিন। এক বল পরই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্মিথ। ৩ বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন লাবুশেন ও স্মিথ। দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে ৩-৩টি করে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সেশনে প্রথম উইকেট নেন মহম্মদ সামি। সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ট্রেভিড হেড (১২) দ্বিতীয় স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
গিয়েছিলেন খোয়াজা। শূন্য ঝাঁপিয়ে এক হাতে অনবদ্য ক্যাচ নেন রাহুল। দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় উইকেট অ্যালেক্স ক্যারির (০)। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বিরাটের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ১৬৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর পিটার হ্যান্ডসকম্ব এবং ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স ইনিংস সামলান। জুটিতে দলীয় স্কোর নিয়ে যায় ২০০-র উপরে। জাডেজা কামিন্সকে আউট করে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন। শেষদিকে নাথান লিয়ঁ এবং ম্যাক কুহনম্যানের উইকেট নিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন মহম্মদ সামি। হ্যান্ডসকম্ব ৭২ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ২০। প্রথম ইনিংসে ভারত পিছিয়ে ২৪২ রানে। দ্বিতীয় দিনের খেলা জমে যাবে বলেই আশা ক্রিকেটপ্রেমীদের।
2023-02-17

