কলকাতা, ১২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লি যাওয়ার পথে তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের রিপোর্ট কার্ডের সঙ্গে তুলনা হোক রাজ্যের কাজকর্মের। তারপরই কে কতটা কাজ করেছে, তা নিয়ে সমালোচনা হোক। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে খোঁচা দিলেন অভিষেক।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক বাকযুদ্ধে ইতিমধ্যেই তাতছে বাংলার মাটি। রবিবারই জোড়া সভা করে তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা । পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের জোড়া সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে ‘তোলাবাজ’, ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে চোখা চোখা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এমনকী বাংলা ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।
তাঁর এই সমালোচনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারানোর বার্তা দেওয়া নাড্ডাকে তাঁর খোলা চ্যালেঞ্জ, ”লড়াই করুন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এক লক্ষ প্রার্থী আগে দিন। তারপর অভিযোগ করবেন যে তৃণমূল প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে। আপনাদের প্রার্থীদের কোথাও মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়া হলে, আমি আছি। আমি নিজে গিয়ে মনোনয়ন করিয়ে দেব। তৃণমূলের প্রার্থীরা তো আর পদ্ম, হাতে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবে না। প্রার্থী আপনাদেরই দিতে হবে।” এদিন জে পি নাড্ডা দাবি করেছেন, নারী সুরক্ষা নেই বাংলায়, অপরাধ প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। তাকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক তুলে ধরলেন এনসিআরবি’র রিপোর্ট। আক্রমণের সুরে পালটা অভিষেক বলেন, ”ইডি, সিবিআই সবাইকে পকেটে পুরেও বাংলা দখল করতে পারেননি। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০২১-এও আপনারা কিছু করতে পারেননি, এবারও কিছু করতে পারবেন না।”
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেবেলা দিল্লি গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সোমবার যাবেন ত্রিপুরা। তার মাঝেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।