নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারী৷৷ উত্তপ্ত বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮ নং বুথ এলাকা৷ সিপিআইএম স্কোয়াডিং করতে গেলে আটকে রাখে দুর্বৃত্তরা৷ শেষ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে বসে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা৷ ছুটে আসে পুলিশ প্রশাসন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ৫৫ বাগবাসা বিধানসভা এলাকার ৩৮ নং বুথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ সিপিআইএম এবং বিজেপির একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়েছে৷ দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পুলিশ সিপিআইএম কর্মীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়৷ কিন্তু সিপিআইএম কর্মীরা নিরাপত্তার দাবি জানায় পুলিশকে৷ পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে অবরোধ মুক্ত হয়৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল৷ দুই দলের কর্মী সমর্থকরা কাতারে কাতারে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে৷ শেষ পর্যন্ত মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশের৷ সি পি আই এম উত্তর জেলা সম্পাদক অমিতাভ দত্ত জানান, সারা রাজ্যে বিজেপিতে ধস নেমেছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় লোক হচ্ছে না৷ জনগণের সমর্থন না পেয়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে বিজেপির দুর্বৃত্তরা৷ ব্যতিক্রম হয়নি এই দিনও৷ সিপিআইএমের মনোনীত প্রার্থী বিজিতা নাথের সমর্থনে স্কোয়াডিং করার সময় দীর্ঘ তিন ঘন্টা বিজেপি কর্মীরা তাদের আটকে রাখে৷ পুলিশকে জানানোর পর দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় সিপিআইএম কর্মীদের৷ তারপরেও ঘটনাস্থলে এসে তাদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ৷ এর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বলে জানান তিনি৷ তবে এদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশের৷ দুই দলের কর্মীরা পুলিশকে দেখে আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠে৷
বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের মন্ডল সভাপতি সুদীপ দেব জানান বিজেপি দলের একটি স্কোয়াডিং চলছিল তখন অবৈধভাবে কংগ্রেস ও সি পি আই এম -এর দুর্বৃত্তরা লাঠি দা নিয়ে আক্রমণ সংগঠিত করতে আসে৷ খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ কিন্তু প্রায় ঘন্টাখানেক পর পুলিশ এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে৷ পরবর্তী সময় তিনি এ বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং অফিসার কেউ অবগত করেছেন৷ তিনি জানান কিছুসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মীরা সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে৷ যারা প্রতিনিয়ত বিজেপির প্রচারসজ্জা নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মীরা৷ অভিযোগ জানানোর পরেও তারা বিরোধী দলের কর্মীদের এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে৷ বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে৷ মোতায়েন রয়েছে আধা সামরিক বাহিনী৷
2023-02-10

