আট জেলার ডিএম, এসপি সহ নির্বাচনী আধিকারীকদের সাথে বৈঠক কমিশনের রাজ্য সফররত প্রতিনিধিদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জানুয়ারী৷৷  রাজ্যের বর্তমান নির্বাচনী সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে সোমবার আসেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরতিন সদস্যের এক বিশেষ পর্যবেক্ষক দল৷ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক যোগেন্দ্র ত্রিপাঠি, পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক জহরী এবং এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক হিসেবে এসেছেন বি  মুরালি কুমার৷ মঙ্গলবার সকালে রাজ্য অতিথি শালায় নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যস্তরের পদাধিকারিদের সাথে পর্যালোচনা বৈঠক করেন তারা৷ রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে তাদের কাছ থেকে অবগত হন তারা৷ নির্দেশ দেওয়া হয় আরো একাধিক বিষয়ে৷ একই সঙ্গে আট জেলার জেলা শাসক, পুলিশ সুপার সহ নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের  তিন সদস্যের এক বিশেষ পর্যবেক্ষক দল৷  উল্লেখ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করার জন্য সবকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে  দফায় জানার দাবি জানানো হয়৷  নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ টিমগত ১২ই জানুয়ারি রাজ্য সফর করেন৷ সফর কালে তারা রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন রাজ্যে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের আশ্বাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সব কটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেই আসার সঞ্চার হয়৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রচার অভিযান জোরদার করেছে৷ প্রচার অভিযান চালাতে গিয়ে যেসব জায়গায় বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হচ্ছে৷ নির্বাচন কমিশন সেইসব ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতি দায়ে জিরানি আর মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং দুই থানার ওসিকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয় সন্ত্রাসের অভিযোগ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুর নিগমের কাউন্সিলরকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের ৩ সদস্যক বিশেষ  পর্যবেক্ষক দল বর্তমানে রাজ্যে অবস্থান করছেন৷ তারাও রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন৷ নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা রাজ্যের নির্বাচন সংঘটিত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন এবারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করতে নির্বাচন কমিশন বাস্তবিক পক্ষেই ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে নজির স্থাপন করবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *