মুম্বই, ৬ আগস্ট ( হি.স.) : এবার দিল্লিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে। গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই নিয়ে সাতবার তিনি দিল্লি গেলেন। ৩৬দিন কেটে গিয়েছে। এখনও মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠন হয়নি। সরকারি কাজকর্ম কার্যত লাটে উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক পরিষেবাও।
শিন্দে শনিবারই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন। সূত্রের খবর, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভা নিয়ে কথা হবে। বিজেপি নেতারা সবুজ সংকেত দিলে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। গত সোমবার দিল্লি গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। তিনি সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার একটি তালিকা নিয়ে গিয়েছেন। তিনি ওই তালিকা নিয়ে একদফা কথা বলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। অসুস্থ থাকায় তখন ফড়ণবিশের সঙ্গে দিল্লি যেতে পারেননি শিন্দে। ডাক্তাররা তাঁকে কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। এখন একটু সুস্থ হওয়ায় তিনি এদিন দিল্লি রওনা দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি (এমভিএ) জোটের সরকার ভেঙে যায়। শিন্দের নেতৃত্বে শিবসেনার বহু বিধায়ক উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমভিএ জোটের অভিযোগ ছিল, বিজেপির মদতেই শিণ্ডে শিবির উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত এবং পরে সেখান থেকে অসমের এক পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে রাখা হয়। শিণ্ডে শিবিরের দাবি ছিল, উদ্ধবকে কংগ্রেস, এনসিপির হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরতে হবে। তাতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে। বিক্ষুব্ধ শিবিরে বিধায়কদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। শিবসেনা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কারা আসল শিবসেনা, তা নিয়ে গোলমাল হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়। সেই বিতর্কের মীমাংসা এখনও হয়নি।