BRAKING NEWS

একবিংশ শতাব্দীতে ভারতে যোগাযোগ বৃদ্ধির বড় যজ্ঞ চলছে : প্রধানমন্ত্রী

দেহরাদূন, ৪ ডিসেম্বর (হি.স.): একবিংশ শতাব্দীতে ভারতে যোগাযোগ বৃদ্ধির বড়সড় যজ্ঞ চলছে। যা ভবিষ্যৎ ভারতকে উন্নত দেশের শৃঙ্খলে আনতে বড় ভূমিকা রাখবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দেহরাদূনের প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডরও। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “একবিংশ শতাব্দীতে ভারতে যোগাযোগের এত বড় যজ্ঞ চলছে, যা ভবিষ্যৎ ভারতকে উন্নত দেশের শৃঙ্খলে আনতে বড় ভূমিকা রাখবে। এই মহাযজ্ঞের একটি যজ্ঞ আজ দেবভূমিতে হচ্ছে। কেদারনাথে বিয়োগান্তক ঘটনার আগে, ২০১২ সালে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ দর্শন করেছিলেন। সেই সময় এই সংখ্যাই একটা রেকর্ড ছিল। অথচ করোনাকালের আগে, ২০১৯ সালে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কেদারনাথ দর্শন করেছিলেন।” দিল্লি-দেহরাদূন ইকোনোমিক করিডরের শিলান্যাস খুশি ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই করিডর যখন তৈরি হয়ে যাবে তখন দিল্লি থেকে দেহরাদূনে আসতে অর্ধেক সময় লাগবে।”

পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে যে সরকার ছিল, সেই সরকার ৭ বছরে উত্তরাখণ্ডে মাত্র ২৮৮ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক বানিয়েছিল। অথচ আমাদের সরকার ৭ বছরেই উত্তরাখণ্ডে ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি লম্বা জাতীয় সড়ক তৈরি করেছে। পূর্ববর্তী সরকার উত্তরাখণ্ডে জাতীয় সরকারের জন্য ৭ বছরে ৬০০ কোটির মতো খরচ করেছিল। আমাদের সরকার ৭ বছরেই জাতীয় সড়কের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “একটা সময় ছিল যখন পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষজন উন্নয়নের মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্বপ্নই দেখতেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম কেটে যেত। কিছু করার ইচ্ছে থাকলে চেহারাও বদলে যায় এবং দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যায়। আপনাদের স্বপ্ন পূরণে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।” টিকাকরণে উত্তরাখণ্ডের সাফল্যের কথা এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “টিকাকরণের বিষয়ে উত্তরাখণ্ড দেশের অন্যতম প্রধান রাজ্য। এ জন্য আমি পুষ্কর সিং ধামিজি ও তাঁর সহকর্মীদের এবং উত্তরাখণ্ডের সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অধীনে উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। উত্তরাখণ্ডে তিনটি নতুন মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঋষিকেশ এইমস তো পরিষেবা দিচ্ছে, কুমায়নেও স্যাটেলাইট সেন্টার পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *