মুম্বই, ২৭ অক্টোবর (হি.স) : অবশেষে পুলিশের জালে আরিয়ান খান মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ পি গোসাভি। দীর্ঘদিন আত্মগোপনের পর এই বেসরকারি গোয়েন্দাকে এদিন মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর খোঁজ করছিল পুলিশ। যদিও কয়েকদিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থানায় তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু সেটি তিনি করেননি। এই কেপি গোসাভি আদতে একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা। যার সঙ্গে এনসিবির কোনও যোগাযোগই নেই। যদিও মুম্বই ক্রুজ মাদককাণ্ডে এনসিবি-র সাক্ষীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। এনসিবির অভিযান চলাকালীন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হয়েছিলেন গোসাভি। তাঁর পর থেকেই নিরুদ্দেশ ছিলেন তিনি। এরপর তাঁরই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল আরিয়ান কাণ্ডে টাকার লেনদেনের গুরুতর অভিযোগ তুলে গোসাভির নামও উল্লেখ করেছিলেন।
নিরুদ্দেশ থাকা অবস্থায়, দু’দিন আগে এক সাক্ষাত্কারে গোসাভি জানান, আরিয়ান তাঁর কাছে ফোন চেয়ে নিজের বাব-মার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে গোসাভি শাহরুখের ম্যানেজারকেও সে সময় ফোন করেছিলেন বলে জানান। এদিকে, প্রভাকর সেইলের দাবি, এনসিবি সাক্ষী হিসাবে ১০ টি সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়েছে। এছাড়াও তিনি হলফনামা দিয়ে জানান, ২রা অক্টোবরের রাতে আরিয়ানকে এনসিবির দফতরে নিয়ে আসার পর কেপি গোসাভি এবং জনৈক স্যাম ডিসুজার মধ্যে কথোপকথন শুনেছিলেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছিল প্রথমে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হবে, যদিও, ১৮ কোটিতে গোটা মামলা রফা হবে। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে।