বেছে নেওয়া হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটির শীর্ষে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রণ, অন্যান্য সদস্যরা হলেন-অলোক জোশি এবং সন্দীপ ওবেরয়। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। ৮ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পর, কমিটিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, “আমরা তথ্যের যুগে বসবাস করি এবং আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ হলেও গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ, শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য নয়, সমস্ত নাগরিকের জন্য।” শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যখন পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল তখন সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে দায়ের করা পিটিশনে আদালত মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তবে, যারা সরাসরি ভুক্তভোগী ছিলেন তাঁদের দ্বারা অন্যান্য বিভিন্ন পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা অনস্বীকার্য যে নজরদারির অধীনে এটি মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সঙ্গে যুক্ত। এই জাতীয় প্রযুক্তি সংবাদপত্রের অধিকারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মিথ্যা তদন্ত ও সত্য উদঘাটনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ভারত সরকারের এই প্রেক্ষিতে কোনও স্পষ্ট অবস্থান নেই। ভারতীয়দের নজরদারি করে বিদেশী সংস্থার জড়িত থাকার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।’