ঢাকা, ২৩ অক্টোবর (হি.স.): দুর্গাপুজোর সময়ে দেশজুড়ে পুজোমণ্ডপ ভাঙচুর ও মন্দিরে হামলার ঘটনা নিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলির তোলা দাবি খারিজ করে দিল শেখ হাসিনা সরকার। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সহ একাধিক সংগঠন মন্দির সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-দোকানে হামলার ঘটনার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানালেও তা যে মানা হচ্ছে না শনিবার তা জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ইতিমধ্যেই ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ অর্থাৎ ভিডিও দেখে মূল পাণ্ডা ইকবাল হোসেন সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে বিচার প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী জানান, ‘কুমিল্লায় পুজোমণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনার জেরে যে যে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে তার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।’
এদিন মন্ত্রী বলেন, ‘ভিডিও দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে। ভিডিও প্রমাণ গ্রহণ করার একটা ধারা রয়েছে। তাই কোনও অসুবিধা হবে না।’
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনে অর্থাৎ গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে দর্পন সঙ্ঘের পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শহরের অন্তত আটটি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তার জেরে ওইদিনই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় পাঁচজন। পরে নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে লাগাতার হামলা চলে।