আগরতলা, ১৩ অক্টোবর (হি. স.) : বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে উদয়পুরের বন্দুয়ার সাব-স্টেশনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। দুইটি ট্রান্সফরমার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাতে উদয়পুর সহ বিস্তির্ন এলাকা বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় বিদ্যুতের লাইন সারাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে, বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ বিদ্যুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে। অগ্নিকান্ডের পেছনে ভারী বৃষ্টিপাত অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছে বিদ্যুত নিগম।
আজ ভোর সোয়া ৪টা নাগাদ গোমতি জেলায় উদয়পুর মহকুমায় বন্দুয়ার ১৩২ কেভি সাব-স্টেশনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। তাতে, একটি ৫ এমভিএ ৩৩/১১ কেভি ট্রান্সফরমার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া, একটি ১৩২/৩৩ ২৫ এমভিএ ট্রান্সফরমার অকেজো হয়ে পড়েছে। পাঁচটি বিদ্যুত পরিবাহী তার এবং ৬টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, উদয়পুর, সাব্রুম শহর সহ সাতচান্দ, বকাফা, কিল্লা এবং বাগমা এলাকায় বিদ্যুত পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
কারিগরী পর্যবেক্ষণে বিদ্যুত নিগম জানতে পেরেছে, মহারানী এলাকায় বজ্রপাতের সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১১ কেভি ফিডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে ১৩২ কেভি সাব-স্টেশনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুত নিগমের বরিষ্ঠ আধিকারিক আগরতলা থেকে বন্দুয়ার ছুটে গেছেন। ডিরেক্টর টেকনিকাল এবং এজিএম ট্রান্সমিশনও দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন।
সকাল থেকেই বিদ্যুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। তাতে, ক্ষতিগ্রস্ত তার পরিবাহী ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হচ্ছে। এদিকে, বিদ্যুতের সমস্ত লোড নতুন ৫০ এমভিএ ট্রান্সফরমারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্ত, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অত্যাধিক বিদ্যুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন নিগমের জনৈক আধিকারিক।
এদিকে, বিদ্যুত দফতরের সচিব এবং নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বন্দুয়ার সাব-স্টেশন পরিদর্শন করেছেন এবং গোমতি ও দক্ষিণ জেলায় বিদ্যুত পরিষেবা বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ স্বাভাবিক হয়েছে। নিগমের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবছর সপ্তমীতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। এবছর সপ্তমীতে সর্বোচ্চ ৩২৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। যা করোনাকালের পূর্বে ২০১৯ সালে দূর্গা পূজায় সর্বোচ্চ ৩১০ মেগা ওয়াটের চাহিদা রয়েছে। জানা গেছে, আজকের ঘটনার প্রকৃত কারণ খুজতে বিদ্যুত দফতরের সচিব কিরন গিত্তে বিস্তারিত তদন্ত করবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। হিন্দুস্থান সমাচার\সন্দীপ