নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ডেস্ক, ৯ জুন।। ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান নিখোঁজ হবার পর তিন দিন অতিক্রান্ত হলেও তার কোন সন্ধান মিলেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে কৈলাসহরের মহিলা থানায় লিখিত নিখোঁজ ডায়েরি করার হয়। কৈলাশহর এর ল্যাব টেকনিশিয়ান যুবতী নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন অতিক্রান্ত হবার পরও মহিলা থানার পুলিশ কর্মীদের কোনো ধরনের হেলদোল নেই। পুলিশের হেলদোল না থাকায় মহিলা থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।কৈলাসহরের শ্রীরামপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা অখিল দেবনাথের ছাব্বিশ বছরের মেয়ে মাম্পী দেবনাথ কৈলাসহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের কোভিড টেস্টিং সেন্টারে ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে অনিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল।
অন্যান্য দিনের মতো গত ত্রিশ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ নিজ বাড়ি থেকে জেলা হাসপাতালে কাজে যাবার জন্য বের হয়েছিল। কিন্তু, বিকেলে মাম্পী বাড়িতে না আসায় বাড়ির লোকজন মাম্পীর মোবাইলে ফোন করে দেখতে পায় মাম্পীর মোবাইল সুইস অফ। সংগে সংগেই মাম্পীর বাড়ির লোকজন জেলা হাসপাতালে গিয়ে খবর নিয়ে জানতে পারে যে, মাম্পী ত্রিশ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে জেলা হাসপাতালে যায়নি। এরপর বাড়ির লোকজন সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে না পেয়ে মাম্পীর বন্ধু বান্ধবীর মোবাইলেও ফোন করে কোনো ধরনের খবর না পেয়ে মাম্পীর বড় ভাই রাহুল দেবনাথ কৈলাসহরের মহিলা থানায় লিখিত নিখোঁজ ডায়েরি করে।
মাম্পীর কয়েকটি ছবিও মহিলা থানায় জমা দেয়। নিখোঁজ মাম্পীর বড় ভাই রাহুল দেবনাথ পুলিশের কোনো সাহায্য না পেয়ে আজ দোসরা অক্টোবর শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের দারস্থ হয়ে কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ কর্মীদের উপর ক্ষোভ উগরে দেণ। ত্রিশ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বোন নিখোঁজ হবার পর লিখিত নিখোঁজ ডায়েরি করার পর প্রায় তিনদিন অতিক্রান্ত হবার পরও কৈলাসহরের মহিলা থানার পুলিশ কোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি পুলিশ আজ অব্দি নিখোঁজ মাম্পীর মোবাইল নাম্বারও ট্রেক করেনি। এমনকি কৈলাসহরের মহিলা থানার পুলিশ আজ অব্দি নিখোঁজ মাম্পীর বাড়ির কারোর সাথেই কথা বলে নি। এপ্রসঙ্গে নিখোঁজ মাম্পীর বড় ভাই রাহুল দেবনাথ আরও গুরুতর অভিযোগ করে যে, লিখিত নিখোঁজ ডায়েরি কৈলাসহরের মহিলা থানায় দেবার পর থেকে রাহুল কিংবা বাড়ির অন্য কেউ মহিলা থানায় এসে খোঁজ খবর নিতে আসলে কৈলাসহরের মহিলা থানার পুলিশ কোনো ধরনের কথাই বলছে না।
উপরন্তু কৈলাসহরের মহিলা থানার পুলিশ নিখোঁজ মাম্পীর বড় ভাই রাহুল দেবনাথ সহ বাড়ির অন্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে বলে রাহুল দেবনাথ জানান। কৈলাসহরের মহিলা থানার এহেন ব্যবহারে তিতিবিরক্ত নিরুপায় হয়ে নিখোঁজ মাম্পীর পরিবার সংবাদ মাধ্যমের দারস্থ হয়ে প্রকাশ্যেই কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিখোঁজ মাম্পী দেবনাথের সন্ধান পাওয়ার কাতর আবেদন জানান তারা। এভাবে প্রকাশ্য দিনের বেলায় একজন শিক্ষিত মেয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে হাসপাতালে কাজে যাবার সময় নিখোঁজ হওয়ায় গোটা কৈলাসহরে তীব্র আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার প্রায় তিনদিন অতিক্রান্ত হবার পরও কৈলাসহরের মহিলা থানার পুলিশের কোনো ধরনের হেলদোল না থাকায় পুলিশের উপর সাধারণ মানুষরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।