কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর (হি.স) : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। আলিপুরের তরফ থেকে জারি হয়েছে সতর্কতা। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের আকারেই অবস্থান করছে গুলাব। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তা ভয়াল আকার নিতে পারে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর জেরে শনিবার থেকেই কলকাতা সহ একাধিক জেলায় তীব্র ঝড়ঝঞ্জা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা এ নিয়ে জরুরি বৈঠক শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন কলকাতার উপর দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ১২ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ইয়াসের পর গুলাবের চোখ রাঙানিতে বিশেষভাবে সতর্ক প্রশাসন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলার উপকূল ছুঁয়ে পশ্চিম দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর দিক হয়ে দক্ষিণ ওডিশার দিকে সরবে ওই ঘূর্ণিঝড়। রবিবার বিকেলে বিশাখাপত্তনম এবং গোপালপুরের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়বে তা। যার জেরে শনিবার থেকেই কলকাতা সহ উপকূলবর্তী চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও। উল্লেখ্য, এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান।
আচমকা রাজ্যের দিকে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার আগাম সংকেত পেয়ে তৎপর প্রশাসন। জেলায় জেলায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপদসংকূল হিসেবে ব়্যাডারে রয়েছে কলকাতা। আর সেই কারণেই বর্তমানে ভীষণ সতর্ক কলকাতা পুলিশ। ঝড়ের দাপট থেকে শহরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে একটি বিশেষ টিম গড়েছে লালবাজার। ওই টিমে রয়েছেন কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর, দমকল ও সিইএসই-র প্রতিনিধিরা। লালবাজার কন্ট্রোল রুমে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার’। কলকাতা পুলিশের তরফে ভবানীপুর, কালীঘাট, আলিপুর, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর, এই পাঁচটি এলাকায় বির্পযয় মোকাবিলার ২২টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার সহযোগিতায় জল নিকাশি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা, নৌকা ও ক্রেন মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে লালবাজারের তরফে। একইসঙ্গে রিভার ট্রাফিক পুলিশকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাবক্ষে নজরদারি চালানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে শহরবাসীকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

