নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজনৈতিক অপরাধে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীর্ষে রয়েছে ত্রিপুরা৷ এনসিআরবি-র ওই রিপোর্ট টেনে এনে ত্রিপুরায় অপশাসন এবং জনপ্রিয়তা হ্রাস ঢাকার জন্য বিজেপি সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় বিরোধী দমন করছে বলে অভিযোগ করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ এই অভিযোগের খন্ডন করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাম জমানায় রাজ্যে সন্ত্রাসের হার মনে করিয়ে দেন৷
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর(এনসিআরবি) রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে অসম, মেঘালয়, মণিপুর এবং সিকিমে একটিও রাজনৈতিক অপরাধ হয়নি৷ সেই তুলনায় অরুনাচল প্রদেশে ১টি, মণিপুরে ১টি এবং ত্রিপুরায় ২২টি রাজনৈতিক অপরাধ জনিত ঘটনা ঘটেছে৷ অরুনাচল প্রদেশে রাজনৈতিক অপরাধে একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ অপরাধের হার ০.১ শতাংশ৷ তেমনি, মণিপুরে রাজনৈতিক অপরাধে ১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ অপরাধের হার ০.০ শতাংশ৷ সেই তুলনায় ত্রিপুরায় রাজনৈতিক অপরাধে ৫১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ অপরাধের হার ০.৫ শতাংশ৷
এনসিআরবি-র ওই রিপোর্টকে নিশানা করে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারকে বিঁধেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এনসিআরবি-র রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে অপশাসন এবং জনপ্রিয়তায় ভাটা ঢাকার জন্য ত্রিপুরায় ফ্যাসিস্ট কায়দায় বিরোধীদের দমন-পীড়ন চালিয়েছে বিজেপি সরকার৷ ওই অভিযোগ খন্ডন করে ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাম জমানায় ত্রিপুরায় অপরাধের হার সীতারাম ইয়েচুরিকে মনে করিয়ে দিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ত্রিপুরায় সহিংসতা সিপিএমের উত্তরাধিকার ছিল৷ সিপিএমের জমানায় ২০১৭ সালে ৭৫টি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ অপরাধের হার ১.৯ শতাংশ৷ সাথে তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, গত তিন বছরে ওই অপরাধ প্রচন্ডভাবে হ্রাস পেয়েছে৷ অপরাধের হার এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে৷ তাঁর বার্তা, ত্রিপুরা থেকে অপরাধ সরাতে হলে সিপিএমকে হটাতে হবে৷

