Housewife was found hanging : বিলোনীয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যার৷ তবে অন্য একটি সূত্রে বলা হয়েছে, অবৈধ সম্পর্কের জেরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করল ওই গৃহবধূ৷ গৃহবধূর নাম স্বপ্ণা ত্রিপুরা(২৪)৷ বাড়ী বিলোনিয়া ভারত চন্দ্রনগর ব্লক এর অধীন উত্তর ভারতচন্দ্র নগরের যুম টিলা এলাকায়৷ তবে কবে নাগাদ এই আত্মহত্যা এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা৷ ঘটনায় জানা যায় স্বপ্ণা ত্রিপুরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি৷


বাড়ির লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর গতকাল স্বপ্ণা ত্রিপুরাকে খুঁজে না পেলেও আজ সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে এক রাবার বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই স্বপ্ণা ত্রিপুরাকে৷ খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়া মহিলা থানার পুলিশকে৷ খবর পেয়ে বিলোনিয়া মহিলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপ্ণা ত্রিপুরার ঝুলন্ত মৃত দেহ পর্যবেক্ষণ করার পর ময়নাতদন্তের জন্য বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়৷ জানা যায় গত পরশু দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার স্বপ্ণা ত্রিপুরার অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে উনার স্বামী বলরাম ত্রিপুরা৷


এরপরে সৃষ্টি হয় ঝামেলা৷ খবর দেওয়া হয় বাপের বাড়ির লোকজনকে৷ শুক্রবার স্বপ্ণা ত্রিপুরার বাপের বাড়ির লোকজনেরা স্বপ্ণা ত্রিপুরার স্বামীর বাড়িতে এসে স্বপ্ণা ত্রিপুরাকে বুঝিয়ে শুনিয়া যায়৷ স্বপ্ণা ত্রিপুরার বাপের বাড়ির লোকজন শশুর বাড়ীর থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্বপ্ণা ত্রিপুরা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়৷ এদিকে জানা যায় স্বপ্ণা ত্রিপুরা রাজমিস্ত্রি জোগালি কাজ করতো,এই জোগালি কাজ করতে গিয়েই পর পুরুষের সাথে পরিচয় হয় স্বপ্ণা ত্রিপুরার৷


ঘটনার জানাজানি হতেই শুরু হয়ে যায় সংসারের ঝামেলা৷ বর্তমানে স্বামী বলরাম ত্রিপুরা স্ত্রীকে হারিয়ে দিশেহারা কারণ স্বপ্ণা ত্রিপুরার পাঁচ বৎসর ও আড়াই বছরের পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে৷ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ পুলিশ একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷

প্রসঙ্গত, বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের ঘটনা ইদানিংকালে অতি মাত্রায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ প্রকাশ্যে আসতেই পারিবারিক ঝামেলা বাড়ছে৷ ঘটছে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম৷ এই সামাজিক ও চারিত্রিক অধপতনের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *