নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর, ১৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ উওর জেলার পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকার সাত নং ওয়ার্ডে৷ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা রাতে পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের সাত নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় দিন মজুর সুচিত্রা রানি নাথ(৪২) স্বামী বিরেন্দ্র চন্দ্র নাথ এবং তাদের পুএ বীরজিৎ নাথ(১৯) কে পাশ্ববর্তী বাড়ির জঙ্গল কাটাকে কেন্দ্র করে দিরেশ নাথ(৪২) ওরফে আবু এবং ওর শ্বশুর বিজয় নাথ মিলে ধারালো কোদাল এবং দা দিয়ে গুরুতর ভাবে আঘাত করে৷
ছেলের উপর আক্রমণ দেখে সুচিত্রা দেবী ঘটনাস্থলে ছুটে গেল তার উপর চরাও হয়ে ধারালো কোদালের আঘাতে ঘটনা সলেই লুটিয়ে পড়েন সুচিএা দেবী৷তার মাথায় কোদালের আঘাতে গুরুতর জখম হয়৷পাশাপাশি ছেলে বীরজিৎ এর মাথায় দা দিয়ে আঘাত করলেও সে কৌশল করে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়৷ তবে তার মাথায়ও চারটি সেলাই লেগেছে৷ পানিসাগর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃসন্দিপ নাথ প্রথমিক চিকিৎসার পর মা সুচিত্রা রানী নাথ ও ছেলে বীরজিৎ নাথকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধর্মনগার জেলা হাসপাতালে রেফার করেন৷
এদিকে আশঙ্কাজনক অবসায় মা ছেলে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারনে সংবাদ সংগ্রহ পর্যন্ত পানিসাগর থানায় কোন মামলা রুজু হয়নি৷ফলে পানিসাগর থানার পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি৷তবে সুচিএা দেবীর আহত পুএ জানান, ঘটনার পরবর্তীতে মা ছেলে নিরুপায় হয়ে প্রথমে নাকি পানিসাগর থানায় গিয়ে ছিলেন৷পানিসাগর থানার পুলিশ তাদের সাফ জানিয়ে দেয়, আগে তারা চিকিৎসা করে সুস হউক৷তারপর দেখা যাবে৷ কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় হল এখন পর্যন্ত পানিসাগর থানা কতৃপক্ষ একটি বারের জন্যও হাসপাতালে গিয়ে কোন খোঁজ খবর নেয়নি আহত মা ছেলের৷এ নিয়ে সানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে৷ এলাকার একাংশ মহলের অভিযোগ, দুটি পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রানে মারার মতো আক্রমণাত্বক ঘটনার খবর পেয়েও পানিসাগর থানা ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করার পিছনে কি কোন অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে৷

