Fraudster arrested : উদয়পুরে দাগী প্রতারককে আটক করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,উদয়পুর,১৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ কথায় বলে চোরের দশ দিন গৃহস্থদের একদিন৷ এমনই এক ঘটনা সংঘটিত হলো উদয়পুর মহকুমা কাকড়াবন থানার অন্তর্গত জামজুড়ি গ্রামের রাজধরনগর এলাকায়৷ প্রতারকদের নাম প্রসেনজিৎ দাস, বাবার নাম অনন দাস৷ বাড়ি জামজুড়ি রাজধরনগর এলাকায়৷ প্রতারনা করার দায়ে প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ৷
সংবাদ সূত্রে জানা যায় এক বছর আগে হরিয়ানার বাসিন্দা পেশায় বিএসএফ -সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান তুষার সিং -এর নিকট উদয়পুর রাজধরনগর এলাকার অনন দাসের ছেলে প্রসেনজিৎ দাস ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি সুকটি বিক্রয় করেন৷ কিন্তু গত এক বছর ধরে বাইকের মালিকানা পরিবর্তন করেনি৷

ভিনরাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী তুষার সিং বহুবার বলা সত্বেও প্রসেনজিৎ মালিকানা হস্তান্তরের ব্যাপারে কোনও কর্নপাত করে নি- কোন প্রকার হেলদোল ছিলোনা৷ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২রা আগস্ট অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ দাস বাইকের মালিকানা পরিবর্তন করা হবে বলে তুষার সিংকে জানিয়ে দেয়৷ তুষার সিংকে বলা হয় উদয়পুর মহকুমা শাসকের অফিসের পেছনেস্থিত গোমতি জেলা পরিবহন দপ্তরের সামনে আসার জন্য৷ সেই মোতাবেক তুষার সিং নামীয় বিএসএফ জওয়ান জেলা পরিবহন দপ্তরের কার্যালয়ে সামনে আসেন৷ প্রসেনজিৎ পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক কোন একটা দরকারি কিছু কাগজ দোকান থেকে আনতে হবে বলে তুষার সিংকে সুকটির পেছনে বসিয়ে ঘোর পথে একটি দোকান থেকে একটি কাগজ ক্রয় করে জেলা পরিবহন দপ্তরে দুজনেই চলে আসেন৷

জেলা পরিবহন দপ্তরের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিড়িতে পা রাখতেই প্রসেনজিৎ আরেকটি দরকারি কাগজ ফেলে এসেছেন বলে তুষার সিং-এর থেকে সুকটি র চাবি নিয়ে জেলা পরিবহন দপ্তরের অফিস থেকে সুকটি নিয়ে চম্পট দেয়৷ বহি রাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সৈনিক হওয়ার ফলে ত্রিশ হাজার টাকা টাকাও গেলো আবার সুকটিও গেলো৷ দুভাবেই প্রতারিত হলেন ভিনরাজ্যের জনৈক বিএসএফ জওয়ান তুষার সিং৷ ঘটনা আরকেপুর থানা এলাকায় সংঘটিত হওয়ায় প্রতারিত বিএসএফ জওয়ান তুষার সিং গত ২৪শে আগস্ট অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ দাসের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ এই অভিযোগ পেয়েই রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত প্রসেনজিৎকে জালে তুলার জন্য ফাঁদ পেতে বসে থাকেন রাধাকিশোরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর শংকর সাহা৷ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার অভিযুক্ত প্রতারক প্রসেনজিৎ দাস কে মাতাবাড়ি থেকে রেল স্টেশনে যাওয়ার রাস্তায় গ্রেপ্তার করেন রাধাকিশোরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর শঙ্কর সাহা৷ রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ প্রতারক প্রসেনজিৎকে আটক করতে পারলেও সুকটিটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি৷ পুলিশ সুকটি উদ্ধারে সকল রকম চেষ্টা করেছেন৷ আগামী কাল প্রতারক প্রসেনজিৎ কোর্টে প্রেরণ করা হবে৷ প্রসেনজিৎ-এর গ্রেপ্তারে জামজুড়ি রাজধরনগর এলাকা অতিষ্ঠ জনগণ যার পর নাই খুশি- কারন প্রসেনজিৎ বিয়ে কার পরও উশৃঙ্কখল বখাটে ভাবে জীবন যাপন করে বলে একটি মেয়ে রেখে প্রসেনজিৎ-এর প্রথমা স্ত্রী পালিয়ে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়ে যায়৷ বখাটে প্রসেনজিৎ ও তার ভাই এলাকায় নেশা সামগ্রী বিক্রির সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ রাধাকিশোরপুর থানার মামলা নাম্বার ১৩১/২০২১,ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে ৪২০ বা চারশো বিশ৷