Party has been running from Bengal : বঙ্গ থেকেই দল পরিচালনা, সহসাই তৃণমূলের কমিটি হচ্ছে না রাজ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ত্রিপুরায় তৃণমূল সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড় বেশী বেয়কায়দায় পড়ে আছে৷ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের ঘোষণা সত্বেও তৃণমূল রাজ্য কমিটি গঠন দূরস্ত৷ শুধু তাই নয়, কবে এই কমিটি গঠিত হবে তার কোন নিশ্চয়তা দলের হাইকামান্ড দিতে পারছেন না৷ ফলে, বাংলা থেকে ত্রিপুরায় সংগঠন ও দল পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সম্প্রতি সংগঠন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি অনেকটা এগিয়েছিল৷ দলছুট কয়েকজন নেতা তাদের অতীতের দলবদলই তাদের অলংকার৷ তারা তৃণমূলে যোগ দেবে এমন ওয়াদা করে পরে পিছিয়ে যায়৷ অতীতের বিশ্বাসঘাতকদের দল আর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে রাজি নয়৷ ফলে, তৃণমূল তৃণস্তরেই অবস্থান করছে ত্রিপুরায়৷


বিজেপির বিরুদ্ধে সংগঠনকে মাঠে নামানোর ক্ষমতা তৃণমূলের এখনও হয়নি৷ এখন রাজ্যজুড়ে সিপিএম বিজেপি যুদ্ধ চলছে৷ তৃণমূল সেখানে প্রায় অনুপস্থিত৷ মাঝেমধ্যে কোথাও কোথাও তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির হাতে মার খাচ্ছে৷ অথবা মার দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ ফলে দলের যে মূল শক্তি সেটা আত্মপ্রকাশের আগেই মিলিয়ে৷ কিন্তু, নিরূপায় মমতা বিশ্বাসযোগ্য নেতা ত্রিপুরায় খুঁজে পাচ্ছেন না৷ যারা বর্তমানে রয়েছেন তাদের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার মানসিকতা নেই৷ কিন্তু, তিনি মনে করছেন সংগঠনকে তৃণমূলস্তরে নিয়ে যেতে৷ এটা বাস্তব যে নেতৃত্বহীন দল বেশীদূর এগোয় না৷ ইতিহাস বলেছে, দল তখনই শক্তিশালী হয় যখন সংগঠন বিস্তার লাভ করে৷ সংগঠন ছাড়া দল জনমুখী পথে এগুতে পারে না৷ কিন্তু, ত্রিপুরায় ছিন্নভিন্ন তৃণমূল নেতৃত্ব হাওয়ার উপর ভাসছে৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রী, সাংসদ আসছেন, সফর করছে, মিটিং করছেন৷ এর বেশী যেতে পারছেন না৷ তৃণমূলের শিকড় শুকিয়ে যাচ্ছে৷ সেই শিকড় বিস্তৃত হচ্ছে না৷ এই অবস্থায় ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভাগ্য বিড়ম্বিত হচ্ছে৷


তিনি কংগ্রেস যখন করতেন তখন ত্রিপুরার মাটি ভাল করে চিনে নিয়েছেন৷ ত্রিপুরা সম্পর্কে মমতার দৃঢ় ধারণা থাকার কারণে, তিনি স্বপ্ণও দেখেছেন৷ তিনি বারবার উচ্চারিত করেছেন ত্রিপুরাকে চাই৷ কিন্তু, কিভাবে তার ব্যখ্যা দেয়া যাচ্ছে না৷ যারা ১৮ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন৷ সেটা হজম করে কারো হাতে ব্যাটন দিতে রাজি নন৷ যাদের হাতে ব্যাটন দিয়েছিলেন তারা ডিগবাজি খেয়েছে৷ নিজে মন্ত্রী হওয়া, স্বার্থ খুজে নেয়ার চেষ্টা করেছেন৷ ডিগবাজি খাওয়া নেতারা মানুষের কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে উল্টো৷ আজ ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতি যে আশা জন্মেছে সেটার অবদান বিজেপির৷ বিজেপির শাসনে একটা শ্রেণী ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে৷ তৃণমূলে মিশতে চেয়েছে অনেকইে৷ কিন্তু, কান্ডারীহিন নৌকা চালাবে কে৷ তৃণমূলের পরিস্থতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে সংগঠনের হাল ধরার কেউ রাজ্যে নেই৷ খুব সহসা তৃণমূলের কোন কমিটি হচ্ছে না৷ এই অবস্থায় তৃণমূল কোন কৌশল নিয়ে বঙ্গ থেকে ত্রিপুরা শাসন করবে৷ এখন দেখার মমতা কোন পথে এগোয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *