Temptation to get married : মোবাইলে প্রেম, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ত্রিপুরা থেকে নিয়ে গিয়ে শিয়ালদা স্টেশনে ফেলে দিয়ে চম্পট প্রেমিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ মোবাইল এর মাধ্যমে প্রেম হয় বক্সনগর এর এক মহিলার সঙ্গে৷ উদয়পুর খিলপাড়া এলাকার এক যুবকের৷ মহিলার নাম রোশনা বেগম৷ ডাকনাম আয়েশা খাতুন( ৩৫)৷ পিতার নাম আবদুল কাশেম৷ বাড়ি সোনামুড়া মহাকুমার বক্সনগর এলাকায়৷ ছেলেটির নাম আবু তাহের৷ পিতার নাম আলমাচ মিয়া৷ বাড়ি উদয়পুর খিলপাড়া এলাকায়৷ দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেম চলছিল৷ মেয়েটির স্বামী নেই৷ মেয়েটির ঘরে পাঁচ বছরের একটি ছোট মেয়ে রয়েছে৷ তার নাম শ্রাবন্তী আক্তার৷আবু তাহের মেয়েটিকে প্রস্তাব দিয়ে ফুসলে ফাসলে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় চেন্নাই যাবে বলে৷

চেন্নাই গিয়ে তারা বিয়ে করবে৷ মেয়েটির বাড়ি থেকে টাকা পয়সা যা ছিল বিশ্বাস করে নিয়ে ছেলেটির সঙ্গে নতুন সংসার করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷৭ সেপ্ঢেম্বর আগরতলা রেলস্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস করে রওনা দেয়৷ ৮ সেপ্ঢেম্বর সন্ধ্যার সময় কলকাতা শিয়ালদা স্টেশনে নামে৷ রেলের মধ্যেই মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে মেয়েটির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং কানের দুল গলার হার নিয়ে নেয়৷ মেয়েটিকে বলে তুমি আমাকে দিয়ে দাও এগুলো৷ না হলে রেলের মধ্যে চুরি হয়ে যাবে৷ মেয়েটিও বিশ্বাস করে দিয়ে দেয় ছেলেটি কে৷ তারপর আবু তাহের রোশনা বেগম এবং তার মেয়ে শ্রাবন্তী আক্তার কে রেলস্টেশনে ফেলে চলে যায়৷ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও সে ফিরে আসেনি৷ তখন বুঝতে পারে রোশনা যে ছেলেটি তাকে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে৷তখন শিয়ালদা স্টেশনে বসে বসে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে রোশনা৷

এমন সময় সোনামুড়ার নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের সম্পাদক আবু সাহিদ এবং আরো কয়েকজন তাদের কাজের জন্য কলকাতায় এসেছিল৷ হঠাৎ করে দেখতে পায় মেয়েটি কাঁদছে৷ তখন তারা গিয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে৷ তখন মেয়েটির সবকিছু খুলে বলে৷ মেয়েটিকে রেলস্টেশনে সাহায্য করেছিল কলকাতার দুই যুবক৷তখন আবু সাহিদ সোনামুড়া নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের সভাপতি ইমাম হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে কলকাতার একটি ওমেন হোস্টেলে রেখেছে৷ মেয়েটির ছোট শিশু শ্রাবন্তী আক্তার অসুস্থ৷ নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের সম্পাদক মেয়েটিকে ৭ সেপ্ঢেম্বর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছে৷ মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে অর্থাৎ ত্রিপুরার বক্সনগরস্থিত বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত খরচ বহন করবে সোনামুড়ার নাগরিক সুরক্ষা মজলিশ কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছে তারা৷

এখন পর্যন্ত মেয়েটি এবং তার ছোট্ট শিশু কলকাতায় রয়েছে একটি ওমেন হোস্টেলে৷সোনামুড়া নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের সম্পাদক এবং তার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিল তারা সবাই মিলে শিয়ালদা জিআরপি তে অভিযোগ জানিয়েছে লিখিতভাবে৷ মোবাইলে প্রেম করে শত শত মেয়ের জীবন ধবংস হয়ে যাচ্ছে৷ যদি নাগরিক সুরক্ষা মজলিস এর সম্পাদক এর নজরে না পড়তো তাহলে কি যে হতো রোশনা এবং তার মেয়ে শ্রাবন্তীর একমাত্র আল্লাহই বলতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের সভাপতি ইমাম হোসেন৷যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত খরচ বহন করে মেয়েটিকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেবে সোনামুড়া নাগরিক সুরক্ষা মজলিসের কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছে তারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *