নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর।। কুলাঙ্গার ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বৃদ্ধা মা শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন। ঘটনা উদয়পুরের মাতাবাড়ির মধ্যপাড়া এলাকায়। প্রত্যেক মা বাবা জীবন যৌবন উজাড় করে ছেলেমেয়েদের মানুষের মত মানুষ করে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব মা-বাবার ভাগ্যে সন্তানের স্নেহ ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব হয় না। অনেকে কুলাঙ্গার সন্তান হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকে। এ ধরনের এক ঘটনার সাক্ষী রইল মন্দির নগরী উদয়পুর। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ,বৃদ্ধা মহিলা মিলন রানি দের স্বামী গত কয়েক বছর আগে সরকারি চাকুরী করা অবস্থায় মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে উনার বড় ছেলে চন্দন দে, বাবা প্রমোদ রঞ্জন দের সরকারি চাকুরী পাওয়ার জন্য মায়ের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে।
চাকুরীটা পাইয়ে দেবার জন্য তার জন্মদাত্রী মাকে অত্যাচার শুরু করে। বৃদ্ধা মা বড় ছেলের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে স্বামীর চাকুরীটা বড় ছেলের নামেই করে দেন।চন্দন দে বর্তমানে আগরতলায় জি এস টি অফিসে কর্মরত।পরবর্তীতে চন্দন তার মায়ের পেনশনের জমানো ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়ে যায় । মায়ের পেনশনের অ্যাকাউন্ট বই, এটিএম কার্ড সহ সব কিছু চন্দন দে তার বৃদ্ধা মা এবং পরিবারে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে মায়ের শেষ সম্পদ দু’গন্ডা জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বাড়িতে এসে মায়ের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত মা বাধ্য হয়ে বড় ছেলের হাত থেকে রেহাই পেতে উদয়পুর মহকুমা শাসক এবং থানায় মামলা করেন কুলাঙ্গার ছেলে চন্দন দের বিরুদ্ধে।
কুলাঙ্গার পুত্রের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পরা মাকে পরবর্তীতে মাতাবাড়ি মধ্য পাড়া থেকে মেজ ছেলে এসে নিয়ে যায়। বৃদ্ধা মাকে প্রথমে উদয়পুর গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরবর্তী সময় আগরতলা নিয়ে চিকিৎসা করায়।মেজো ছেলে অসুস্থ ।বৃদ্ধা মাকে লালন পালন করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে বলে জানান মিলন রানি দে।মিলন রানি দের বড় ছেলে চন্দন দের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।পাশাপাশি মিলন রানী দে স্বামীর সম্পত্তি সহ জরুুরী কাগজপএ পাওয়াার জন্য উদয়পুর মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায় এবং আমতলী থানায় আবেদন করেন। বাবার মৃত্যুর পর বৃদ্ধা মাকে মারধর করে ডাই ইন হার্নেসে চাকুরী হাতিয়ে নিয়ে বৃদ্ধা মাকে নির্যাতন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযুক্ত কুলাঙ্গার পুত্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।