ত্রিপুরায় অঙ্কুরেই অন্তর্কোন্দলে জেরবার তৃণমূল

আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : অঙ্কুরেই অন্তর্কোন্দল ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুড়মার করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, স্থানীয় নেতাদের একপ্রকার হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে, নিজেদের নেতা ভাববেন না। আমাদের নেত্রী একজনই। বাকি সবাই আমরা কর্মী। তাতে, হলভর্তি সভায় যোগদানের সম্ভাবনা তৈরী হলেও, তৃণমূলে বিভিন্ন দল থেকে সাকুল্যে ২০ জন যোগ দিয়েছেন। অবশ্যই ত্রিপুরায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিকের ওই যোগদান সভায় অনুপস্থিতি কারোর নজর এড়িয়ে যায়নি। এতেই কোন্দল সংগঠন গজিয়ে উঠার আগেই তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে, তা অকপটে স্বীকার করছে রাজনৈতিক মহল।


আগরতলায় দশরথ দেব স্মৃতি ভবনে তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান সভার আয়োজন করেছিল। ওই সভায় উপস্থিতির হার দেখে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত তৃণমূল নেতাদের চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গেছে। অবশ্য, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিকের সাথে কলকাতা থেকে আসা নেতৃবৃন্দের ঠান্ডা লড়াই ওই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বভাবতই, যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমস্ত রাগ উগরে দিয়েছেন।


এদিন ব্রাত্য বসু ক্ষোভের সুরে বলেন, এখানে কোন কোন স্থানীয় মনে করে থাকেন সংগঠন তাঁদের জন্যই বেড়ে উঠছে। অথচ, তাঁরা মানুষের হৃদয় আবেগ বুঝতে পারছেন না। তাঁর দাবি, আমরা যারা কলকাতা থেকে এসেছি দেখেছি পশ্চিমবঙ্গে নেত্রী একজনই। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি আমরা সকলে শুধুই কর্মী। তিনি সুর আরও চড়িয়ে বলেন, এখানে কেউ কেউ মনে করেন আমিই নেতা। তা তৃনমুলে চলবে না। কারণ, তাতে মানুষের কন্ঠস্বর ভেসে যাবে।


তাঁর সাফ কথা, আপনাদের মধ্যেই নেতা লুকিয়ে রয়েছে। তাঁকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুঁজে বের করবেন। তিনি বলেন, সমবেতভাবে সংগঠন সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দল এভাবে সংগঠন সাজিয়ে তুলে না।

ব্রাত্যের হুশিয়ারীতে স্পষ্ট, সংগঠন শুরুতেই নেতৃত্ব সংকটে ভুগবে। স্থানীয় নেতাদের তৃণমূল পছন্দ করছে না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেতা এসে ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তার সম্ভব নয়। ফলে, অন্তর্কোন্দল আগামীদিনে তৃণমূলকে কোনঠাসা করবেই, একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। কারণ, ত্রিপুরার মানুষের স্নায়ুর চাপ বুঝতে হলে আই-প্যাকের সমীক্ষা থেকেও স্থানীয় নেতাদের উপর নির্ভরতা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *