আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় দলীয় অন্তর্কোন্দল নিজের চোখে দেখে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাতে, দল ও প্রশাসন পরিচালনায় অনেক খামতি ধরা পড়েছে। তবে, ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ত্রিপুরা সফরের নির্যাস তুলে ধরে এ-বিষয়ে জানালেন দলের প্রদেশ সহ-সভাপতি রামপদ জমাতিয়া।
সম্প্রতি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক সম্পাদক সংগঠন অজয় জাম্বুয়াল, রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর এবং ত্রিপুরা ও অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সংগঠন ফনিন্দ্র নাথ শর্মা ত্রিপুরা সফরে এসেছিলেন। তাঁরা সাংগঠনিক বিষয়ে সারা ত্রিপুরায় দফাওয়ারী বৈঠক করেছেন। দলের বিদ্রোহীদের রাগ ভাঙানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বের করেছেন এবং তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আজ এ-বিষয়ে বিজেপি প্রদেশ সহ-সভাপতি রামপদ জমাতিয়া বলেন, ত্রিপুরায় সাংগঠনিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সম্পুর্ন অবগত হয়েছেন। ত্রিপুরায় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে দল কি পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, সে-বিষয়ে জেনেছেন। সমস্ত কিছু জেনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছেন তাঁরা। রামপদ বাবুর বক্তব্য, দল ও প্রশাসন পরিচালনায় বেশ কিছু ঘাটতি চিহ্নিত হয়েছে। তবে, যাবতীয় ঘাটতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মিটে যাবে, এমনটাই আশ্বাস মিলেছে।
তাঁর কথায়, ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২ শতাংশ ভোট থেকে ২০১৮ সালে ৫২ শতাংশ ভোটে পৌচেছে বিজেপি। সেই অবস্থান ধরে রেখে আরো এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর দাবি, দলীয় অনুশাসনে কিছু খামতি রয়েছে। তা কাটিয়ে উঠবেই বিজেপি, দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ভিডিও কনফারেন্সে সারা ত্রিপুরায় সাংগঠনিক মন্থন শুরু হয়ে গেছে। সংগঠন আরো শক্তিশালী করার রূপরেখা পাওয়া গেছে।
এদিন তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তিপরা মথায় যাঁরা যোগ দিয়েছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অবশ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দলবদলে কোন বাধা নেই। তবে, তিপরা মথায় যোগ না দেওয়া উচিত ছিল।