নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালো অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ গত কয়েকদিন ধরে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়ারা৷ গত বুধবার ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেছিল৷
তাদের দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে পরীক্ষার সিলেবাস কমিয়ে দেওয়া হলেও অফলাইনে পরীক্ষা দিতে নারাজ ছাত্র-ছাত্রীরা৷ শুক্রবার একই দাবিতে ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালো অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রশ্ণে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা৷ ইউজিসি গাইডলাইন অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যেই পরীক্ষা সম্পন্ন করার দাবি করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ তা নাহলে রাজ্যের পড়ুয়ারা স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ পাবে না৷ উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই দাবি করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ যদিও ইতিমধ্যেই রাজ্যের সাধারণ ডিগ্রী কলেজ গুলোতে পঠন-পাঠন শুরু হয়ে গেছে৷
উল্লেখ্য ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করার বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই আন্দোলনে নামে পড়ুয়ারা৷ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পরবে৷ উন্নত পড়াশুনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পরবে তারা৷ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার কথা জানিয়েছিল আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা৷ শুক্রবার, আগরতলার শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি৷ তারা সেপ্ঢেম্বরে ঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে৷
বিশেষ করে কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম সমস্যায় রয়েছে৷ কারণ সেপ্ঢেম্বরে তাদের পরীক্ষা শেষ না হলে তারা আরো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যাক্ত করেছে তারা৷ কারণ, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ, বিশেষ করে এমটেক স্নাতকোত্তর এবং অন্যান্য কোর্সে ভর্তির সময়সীমা সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত৷ অন লাইনে বা অফ লাইনে সেই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করা হয়েছিল৷ এর আগে রাম ঠাকুর মহাবিদ্যালয় সহ রাজ্যের প্রায় সব গুলো মহাবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীরাও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেয়৷ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আগামী ৬ সেপ্ঢেম্বর থেকেই তাদের যাতে পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই দাবি করেছে তারা৷ কিন্তু হঠাৎ করে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে৷ পরীক্ষা অনলাইনে না অফলাইনে নেওয়া হবে তাও পরিষ্কার করে নি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়৷ অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে তারা প্রস্তুতি নিয়েছিল৷ এবং যাবতীয় পরীক্ষার ফর্মএবং ফি জমা দিয়েছিল তারা৷ কিন্তু এ অবস্থায় পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বে৷বহিরাজ্যে মাস্টার ডিগ্রী কিংবা বিএড করার জন্য ভর্তির শেষ তারিখ চলে যাচ্ছে৷ ডিগ্রী শেষ হবার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
তাই এবিভিপির দাবি অবিলম্বে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রশ্ণে যাতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয়৷তাদের বক্তব্য পূর্বনির্ধারিত রুটিন অনুসারে যাতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়৷ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দিয়েছে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ তাও আবার স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে৷ পরীক্ষা স্থগিত রাখা হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে৷ তিন বছরের কোর্সে এক্সট্রা ক্লাস করতে হচ্ছে৷বর্হিরাজ্যে পড়তে হলে বা এন্ট্রান্স এর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে৷ এ অবস্থায় যদি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারা সমস্যায় পড়বে বলে জানিয়েছে৷

