BRAKING NEWS

সমাজকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে পশ্চিমবঙ্গে : জে পি নাড্ডা

পূর্ব বর্ধমান, ১৬ এপ্রিল (হি.স.): নির্বাচনী প্রচারে গভীর চিন্তা ব্যক্ত করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। নাড্ডার আশঙ্কা, সমাজকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে নাড্ডা বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সমাজকে বিভক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁরা (তৃণমূল) একটি সমাজকে এক হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, আলাদা হয়ে যেতে বলছেন। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস নিয়ে চলে। ”  
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত কেতুগ্রামের জনসভায় জে পি নাড্ডা বলেছেন, “আমরা শুনেছি মমতা দিদি মা, মাটি ও মানুষের কথা বলতেন। কিন্তু, বিগত ১০ বছরে আমরা দেখেছি না মায়ের চিন্তা করা হয়েছে, না মাটির রক্ষা করা হয়েছে, না মানুষের সুরক্ষা রয়েছে। নববর্ষেই আসল পরিবর্তনের আগমন হবে। নাড্ডা বলেছেন, “কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনার টাকা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু দিদি আপনাদর কাছে তা পৌঁছতে দিচ্ছেন না।” জনগণকে নাড্ডার প্রশ্ন, “আপনারা কী এমন সরকার চাইছেন?” সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স-এর জওয়ানদের ‘ঘেরাও’ মন্তব্য নিয়েও এদিন মমতাকে খোঁচা দিয়েছেন নাড্ডা।
জে পি নাড্ডা আরও বলেছেন, “মমতা দিদি এবং তার প্রিয় নেতা-নেত্রীরা দলিতদের জন্য এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন, যা আমি মুখেও আনতে পারব না। কিন্তু দিদি একবারও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেননি। মমতা-সহ তৃণমূলের সমস্ত নেতা দলিত বিরোধী। যাঁরা সংবিধানের রক্ষক, তাঁরা ভক্ষক হয়ে উঠেছে। যাঁরা সংবিধানের রক্ষা, সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যাঁরা সংবিধানের রক্ষা, তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলেন।” নাড্ডা দাবি করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সমাজকে বিভক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁরা (তৃণমূল) একটি সমাজকে এক হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, আলাদা হয়ে যেতে বলছেন। কিন্তু, বিজেপির নরেন্দ্র মোদী সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস নিয়ে চলে।” তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে নাড্ডা বলেছেন, “আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমি জানি বাংলায় যখন ডেঙ্গু হয়েছিল তখনও সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি, আর কোভিডের সময়েও সঠিক তথ্য বাংলা দেয়নি। দিদি বাংলায় কিছুই করেনি। আজ আমি যেই স্থানে সভা করছি, এখানে ধান ও আলু প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। কিন্তু এখানকার চাষীরা শস্য মজুদ রাখার সুবিধা পায়নি। সঠিক মূল্যও তাঁরা পায় না। এমনকি ফড়েরা তাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *