নয়াদিল্লি, ২ আগস্ট (হি.স.): নাগরিক কনভেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার শিলচরে উড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলকে শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে এদিন সরব হয়ে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেস ডেরেক ও ব্রায়েন। দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে বলে দাবি জানান তিনি।
এদিন তিনি বলেন, ‘দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে৷ সাংসদ সুখেন্দ শেখর রায়ের বুকে পেসমেকার বসানো৷ তাঁকে শারীরিক করেছে পুলিশ৷ বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়৷ আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে অসম পুলিশ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি৷ আমাদের প্রতিনিধিরা দু’জন করে যেতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ।’
প্রসঙ্গত, অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির রিপোর্ট অসমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। সেই প্রতিনিধি দলকে পুলিশ শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দেয়। তার জেরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই প্রতিনিধি দলে ছিল, সুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রত্না দে নাগ, নাদিমূল হক, অর্পিতা ঘোষ, মমতা ঠাকুর। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিধায়ক মহুহা মৈত্র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।