BRAKING NEWS

তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি’র সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে পুলিশের হাতে আক্রান্ত দুই সাংবাদিক, জিবিতে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মার্চ৷৷ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি’র মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে পুলিশের হাতে আক্রান্ত হলেন দুই সাংবাদিক৷ সাংবাদিক নিতাই দেবনাথ এবং স্বপন কান্তি দেবনাথকে আহত অবস্থায় জি বি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ অন্যান্য সাংবাদিকদের তরফে দেখানে হলেও পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন৷
সোমবার রঙ খেলার সময় এক ব্যাক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের ভাই সন্দীপ বর্মনের বিরুদ্ধে৷ আক্রান্ত ব্যাক্তি বিজেপি সমর্থক, তাই তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ৷ এই ঘটনায় বিজেপি পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করে দোষীর শাস্তি দাবি করে৷ তখন তৃণমূল কংগ্রেসও মিছিল করে পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করতে আসে৷ পুলিশ [vsw id=”As33Dgn3p88″ source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]তাদের আটকে দিলেও মুহুর্তের মধ্যে দুই দলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়৷ এক সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করেন৷ তখন অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন নিতাই দেবনাথ এবং স্বপন কান্তি দেবনাথও৷ হঠাৎ তাদেরকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন পুলিশ কর্মীরা৷ দুই সাংবাদিকের হাতেই ক্যামেরা ছিল৷ পুলিশের মারে দু’জনই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন৷ সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধারে এগিয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকরা৷ সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে দেখে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীরা সেখানে থেকে পালিয়ে যান৷ সেই ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করে পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারকেও দেখানো হয়৷
এদিন সাংবাদিকদের উপর কেন পুলিশ হামলা করেছে তার সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেননি পুলিশ সুপার৷ এমনকি পুলিশ কর্মীর হাতে সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সত্যি বলেও তিনি মানতে চাননি৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্তব্যরত অন্যান্য সাংবাদিকদের চাপের মুখে তিনি ঘটনার তদন্ত করবেন বলে আশ্বাস দেন৷
কিন্তু, পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কতটা তদন্ত হবে তা অতীত অভিজ্ঞতায় অনেকটাই সন্দেহ রয়েছে৷ ২০০৮ সালে এমবিবি কলেজ চত্বরে এবং পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে পুলিশের হাতে সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু সেই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেয়নি আরক্ষা প্রশাসন৷ উপরন্তু, তদানিন্তন কলেজটিলা ফাঁড়ির ওসি জাহাঙ্গির হুসেনকে নামকাওয়াস্তে তদন্তের নামে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা হয়েছিল৷ পরবর্তীতে তাকে বোধজং নগর থানায় ওসি পদে পোস্টিং দেওয়া হয় এবং তদন্ত প্রক্রিয়া ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়৷ তাই, আবারও ধারণা করা হচ্ছে, আজকের ঘটনাতেও পুলিশের তদন্তের নামে ভড়ং ফুটে উঠবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *