BRAKING NEWS

উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী ফলাফলে একঝলকে নেতানেত্রীদের মতামত

লখনউ, ১১ মার্চ(হি.স.) : উত্তরপ্রদেশে মোদী ঝড়ে উড়ে গেছে শাসক দল সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজপার্টি, কংগ্রেস সকলেই। উত্তরপ্রদেশের ইতিমধ্যেই বিজেপি ৩০৬ টি আসনে জয় লাভ করেছে এগিয়ে আছে ১৫টি আসনে । সপা-কং জোট ও বসপার এই বেহাল দশা বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও ধরা পড়েনি। বিজেপির জয়ের পূর্বাভাস দিলেও এই বিপুল গোরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দিতে পারেনি সমীক্ষাগুলি।৩০০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে থেকে একক সংগরিষ্ঠতা পাওয়ার দিকেই বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপিকে ঠেকাতে ক্ষমতায় থাকা সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদেরই ভরাডুবি ডেকে এনেছে । দলিত, সংখ্যালঘু সব ভোটই পড়েছে বিজেপির পদ্ম চিহ্নেই।

নির্বাচনী ফলাফলে একঝলকে নেতানেত্রীদের মতামত

রাজবর্ধন সিং রাঠোর (বিজেপি)- কংগ্রেসের হাত পাপের চোটে কালো হয়ে গিয়েছে। এই হাত জনতা আর কখনও গ্রহণ করবে না।
রাজীব শুক্ল (কংগ্রেস)- জনতার রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। তবে উন্নয়নের পথ বন্ধ হয়ে গেল। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিরই জয় হল।
পঙ্কজ সিং (বিজেপি) -সমাজবাদী পার্টি রাজ্যে সমস্যার পাহাড় খাঁড়া করে রেখেছিল। মানুষের রায় তারই প্রতিবাদ।
আর সুরজওয়ালা (কংগ্রেস)- কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি উন্নয়নের জন্য জোট বেঁধেছিল। মানুষ তা গ্রহণ করেনি। জয়ের অহঙ্কার নয়, হার নতুন শিক্ষা দেয়।
স্মৃতি ইরানি (বিজেপি)- এই জয় মোদীজির নেতৃত্ব ও অমিত শাহের কঠোর পরিশ্রমের জয়। সমস্ত জাতি, ধর্ম,বর্ণের বিভেদ ভেঙে দিয়েছে এই নির্বাচন।
শিবপাল যাদব এই হার সমাজবাদী পার্টির হার নয়, এর হার অহঙ্কারের হার।
কেশব প্রসাদ মৌর্য (বিজেপি) -এই এত বড় জয় নরেন্দ্র মোদীর কারণেই এসেছে। উনি বলেছিলেন ২০১৯ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনেও বড় জয় পাবে।
যোগী আদিত্যনাথ (বিজেপি) -সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেসকে মানুষ আয়না দেখিয়ে দিয়েছে। মানুষ বিনা ভেদাভেদের উন্নয়ন চায়। আর সেই জন্যই বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে। এই ভোট বিকাশের জন্য। দলের নেতা কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলেছে।
মায়াবতী (বিএসপি)- ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। ইভিএমে অন্য দলের বোতাম টিপলেও সব ভোটেই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিজেপি। বিজেপির এই জয় গণতন্ত্রের পক্ষে অশুভ সঙ্কেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *