নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২২ ফেব্রুয়ারী৷৷ সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে দিনের পর দিন বনদস্যুরা একাংশের বনকর্মীদের সাথে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে সংরক্ষিণ বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ সেই দামী গাছগুলি নিয়ে যাওয়া হয় বনদস্যুদের গোপন আস্তানায়৷ বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক ডজন গোপন আস্তানা রয়েছে বনদস্যুদের৷ সেইসব গোপন আস্তানায় চলে দিবালোকে কাঠ চেড়াই৷ তবে সাধারণ জনগণ মনে করেন মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায় বনদপ্তরের কর্মীরা৷ এবং বাজেয়াপ্ত করে কিছু কাঠ ও গাছের লগ৷ এদিকে, হঠাৎ করে বনদপ্তরের স্থানীয় আধিকারীক পৌশালী রায় বনদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করে দিয়েছেন৷ যদিও কয়েকদিন আগে ভানুলাল সাহার বাড়ির পেছন থেকেও কাঠ ও চেড়াই মেশিন উদ্ধার করে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি৷ অভিযোগ উঠেছে চড়িলাম ফরেস্ট রেঞ্জারের বিরুদ্ধে৷ বনদস্যুদের সাথে নাকি হাতে হাত মিলিয়ে তিনি মূল্যবান গাছ কাটার কাজে মদত দিয়ে চলেছেন৷ একটি কাঠ চেড়াইয়ের মেশিন হাতেনাতে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ৷ রামছড়ার রঙ্গীবাড়ি এবং চেলিখলার আড়ালিয়াবাড়ি এলাকায় কয়েকজন বনকর্মী নিয়ে হানা দেন চড়িলামের রেঞ্জার কর্ণজিৎ সাহা৷ হাতে নাতে ধরেও ছেড়ে দিয়েছেন বনদস্যুদের৷ তাদের সাথে ছিল একটি ভ্রাম্যমান স মিল৷ বন দপ্তরের অফিসারদের এহেন কাজকর্মে এলাকার লোকজন রীতিমতো ক্ষুব্ধ৷
2017-02-23